লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছিল। কোচবিহার থেকে মালদা পর্যন্ত একটি আসনেও জোড়া ফুল ফোটেনি। মালদহ দক্ষিণ কংগ্রেস বাদ দিয়ে সব আসন জিতে নিয়েছিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে সেই পরিসংখ্যান তুলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন অমিত শাহ।
এদিন শাহ বলেন, “২০১৮ সালে আমি বলেছিলাম বাংলায় উনিশের ভোটে ২০টি আসন পাব আমরা। দিদি বলেছিলেন আমরা আন্ডা পাব। কিন্তু আমরা আন্ডা পাইনি। বাংলার মানুষ আমাদের ১৮টি আসন দিয়েছেন। আর দিদি ভয় পেয়ে গিয়েছেন। তাই এখন সিট খুঁজছেন। একটা আসনে দাঁড়ানোর সাহস না করে দুটো আসনে দাঁড়াতে চাইছেন।”
দিল্লি থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা কলকাতায় ফিরে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা দিয়েছেন এবার সন্ত্রাসমুক্ত ভোট হবে বাংলায়। এদিন কোচবিহারের সভায় সেকথা বলেন শাহ। তাঁর কথায়, “কেউ বাংলার ভোটকে প্রভাবিত করতে পারবে না। এমনই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ভোট হবে। বাংলার ভোট এ বার ঐতিহাসিক হতে চলেছে। মমতাদিদির দাঙ্গাবাজদের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের দলের কর্মীরা লড়বেন এবং জিতবেন।’’
এমনিতে কোচবিহারের রাজনীতি মানেই বোমা-গুলি জলভাত। ১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে দেখা গিয়েছিল কার্বাইনের মতো অস্ত্রও ঢুকে পড়েছে তৃণমূলের মাদার যুবর কোন্দলে।
এদিনও দুর্নীতি নিয়ে পিসি-ভাইপোকে নিশানা করেন শাহ। তাঁর কথায়, “বাংলায় সরকার চলেছে ভাইপোর কল্যাণার্থে। আর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার হলে তা চলবে গরিব মানুষের কল্যাণার্থে।”
এদিন শাহ আরও বলেন, “মমতাদিদি একজন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী। সময় এসেছে তাঁকে বদলে দেওয়ার। আপনারা এমন সরকার বাংলায় বানাবেন না, যারা সারাক্ষণ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ঝগড়া করে! মোদী’জির হাতে বাংলাকে তুলে দিন। তার পর কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বাংলাকে জুড়ে ‘ডবল ইঞ্জিন’-এ বাংলার উন্নয়ন হবে।’’