ফের একবার প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্য সাথী’। এবার রোগী ফেরাল সরকারি হাসপাতালে। বিড়ম্বনার শিকার হল আরও এক রোগী পরিবার। সেই পরিবারের অভিযোগ, কলকাতার নামী সরকারি হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের রোগীকে স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় ভর্তি নেওয়া হয়নি। অবশেষে টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে মধ্যমগ্রামের একটি নার্সিংহোমে ‘স্বাস্থ্য সাথী’ কার্ডের বিনিময়ে তাঁদের রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন।
পরিবার সূত্র খবর, বাগুইআঁটির বাসিন্দা গায়ত্রী দাস লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর অবস্থা খারাপ হতে থাকায় পরিবারের লোকজন গত পরশুদিন রাজারহাট নিউটাউনের নার্সিংহোমে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানের তিনটি নাসিংহোমই গায়ত্রী দাসকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখাতেই ওই তিন নার্সিংহোম তাঁদের রোগীকে ফিরিয়ে দেয়।
এরপর ভুক্তভোগী পরিবার রোগীকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে গ্যাস্ট্রোলজি ডিপার্টমেন্ট না থাকায় বাধ্য হয়ে এসএসকেএম নিয়ে যেতে হয় রোগীকে। সেখানে গিয়ে তাজ্জব বনে যায় গায়ত্রী দাসের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, কলকাতার এই নামী সরকারি হাসপাতালও না কি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগীকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করেছে। তাঁরা সুপারের কাছে গেলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। ফলে বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের।
একান্ত নিরুপায় হয়ে কার্ডে পিছনে থাকা টোল ফ্রি নম্বরে শেষমেশ ফোন করেন গায়ত্রী দাসের পরিবার। বিষয়টির অভিযোগ জানাতেই তড়িঘড়ি নেওয়া হয় পদক্ষেপ। সেখানকার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকই মধ্যমগ্রামের মাইকেল নগরে সুকান্তনগর এলাকায় মাদার নার্সিংহোমে গায়ত্রী দাসের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অবশেষে বুধবার ওই নার্সিংহোমই অসুস্থ গায়ত্রী দাসকে ভর্তি নেয়। সেখানেই এখন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন গায়ত্রী দাস।