দেশ এখন গৌরবের সঙ্গে বিকাশের পথে অগ্রসর হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

দেশ এখন গৌরবের সঙ্গে বিকাশের পথে অগ্রসর হচ্ছে। একইসঙ্গে আত্মনির্ভর ভারত অভিযান দেশের গ্রাম-দরিদ্র, কৃষক, শ্রমিক এবং মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যত গড়ার মাধ্যম হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের পুণ্যতিথি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন দীনদয়াল উপাধ্যায়ের পুণ্যতিথি উপলক্ষ্যে বিজেপি কার্যকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দিন ‘সমর্পন দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে বিজেপি। এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমরা সবাই দীনদয়াল উপাধ্যায়জির পুণ্যতিথিতে তাঁর চরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করার জন্য একত্রিত হয়েছি। আমরা তাঁকে নিয়ে যত ভাবনাচিন্তা করি, যত কথা বলি অথবা শুনি, আমরা আরও সতেজতা অনুভব করি। দীনদয়াল উপাধ্যায়জি আমাদের সর্বদা প্রেরণা দিয়েছেন। বর্তমানেও তাঁর বহু চিন্তাভাবনা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং ভবিষ্যতেও প্রাসঙ্গিক থাকবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেখানেই মানবতার কল্যাণের কথা হবে, দীনদয়ালজির একাত্ম মানব দর্শন প্রাসঙ্গিক থাকবে। ক্ষমতার শক্তিবলে আপনি সীমিত সম্মানই পাবেন, কিন্তু বিদ্যবানের সম্মান সর্বত্রই থাকে। দীনদয়াল উপাধ্যায়জি এই চিন্তাধারার জীবন্ত উদাহরণ। করোনা পরিস্থিতিতে দেশ অন্ত্যোদয়ের চেতনাকে সামনে রেখেছিল, আত্মনির্ভরতা থেকে একাত্ম মানবতার দর্শনকেও সিদ্ধ করেছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “১৯৬৫ সালে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়, অস্ত্রের জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়েছিল ভারতকে। সেই সময় দীনদয়ালজি বলেছিলেন, শুধুমাত্র কৃষি নয়, প্রতিরক্ষা এবং অস্ত্রশস্ত্রের ক্ষেত্রেও সাবলম্বী একটি দেশ হিসেবে উন্নীত করতে হবে ভারতকে। বর্তমানে, প্রতিরক্ষা করিডোর তৈরির সাক্ষী থাকছে ভারত, দেশে তৈরি হচ্ছে অস্ত্র এবং তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। এখন আত্মনির্ভর ভারত অভিযান দেশের গ্রাম-দরিদ্র, কৃষক, শ্রমিক এবং মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যত গড়ার মাধ্যম হয়ে উঠছে।”প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “উজ্জ্বলা যোজনা, জনধন একাউন্ট, কিসান সম্মান নিধি, প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয়, প্রতিটি গরিবের নিজস্ব বাড়ি, এখন দেশ গৌরবের সঙ্গে বিকাশের পথে অগ্রসর হচ্ছে। দেশে যখন এতটা ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে, বিশ্বে ভারতের মাথা উঁচু হচ্ছে।” মহাপুরুষদের শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মহাপুরুষদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে অত্যন্ত গর্ব হচ্ছে। আমাদের বিচারধারা দেশভক্তিকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়, এজন্য গর্ব হয়। দেশই প্রথম, এটাই আমাদের বিচারধারা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.