দ্বিতীয়বারের জন্যে ফের ক্ষমতার মসনদে নরেন্দ্র মোদী। গোটা বিশ্বেকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের জন্যে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয়বারের জন্যে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে নরেন্দ্র মোদীকে। দেশ শাসনের দ্বিতীয় পর্বে দেশ থেকে সেই ৬ টি সমস্যাকে নির্মূল করে দিতে চান তিনি।
কৃষক সমস্যার সমাধান- চাষাবাদ, অরন্যায়ন এবং মৎস্য চাষ এই তিন মিলিয়েই দেশের কৃষিকাজ সমাহিত। দেশে মোট ২৬ কোটি কৃষিজীবী রয়েছেন। এই ২৬ কোটির সমস্যা হিসেবে যে কারণ উঠে আসে সেটি হল দেশে বিপুল পরিমানে খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কৃষিকাজে লাগান অর্থ লভ্যাংশে উঠে না আসায় সমস্যায় পরছেন তাঁরা। এই সমস্যার সমাধানই এবার প্রধান লক্ষ্য মোদীর। পি এম কিষান যোজনায় সকল কৃষকদের বছরে ৩ কিস্তিতে ৬,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
বেকারত্ব দূরীকরণ- কৃষিকাজের পাশাপাশি দেশের অন্যতম বৃহৎ সমস্যা বেকার যুবকদের কাজ না থাকা। ভোট প্রচারেও এই সমস্যা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রচার করে থাকেন নেতা-মন্ত্রীরা। এবার এই সমস্যা দূর করাই দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণের আগে মোদীর দ্বিতীয় লক্ষ্য। দেশে ১৩৩ কোটি জনগণের মধ্যে ৯১ কোটি জনগণ চাকরি সমস্যায় ভুগছেন। দেশে বার্ষিক ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশে ‘আচ্ছে দিন’ আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মাধ্যমেই ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। এবারও তাই মসনদে বসার আগে দেশে বেকারত্বকেই শিখণ্ডী করলেন তিনি।
জাতীয় অর্থনীতির উন্নতি- মোদী সরকারের আমলে দেশে জিডিপির হার বেড়েছে। কিন্তু তাতেও গভীর সমস্যায় ভুগছে দেশ। ঋণের দায়ে ডুবে রয়েছে দেশের রাস্ত্রায়াত্ব ব্যাঙ্কগুলি। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির যা হাল তাতে করে দেশে অবিলম্বে হাল ফেরানো দরকার দেশীয় অর্থনীতির।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন- হিন্দুত্ববাদই দেশের অন্যতম আদর্শ হলেও এবার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের বিষয়টিতেও জোর দেবে সরকার। রাজনৈতিক মহলে চর্চা “সব কা সাথ, সব কা বিকাশ” এর সাথে মোদীর স্লোগানে জুড়েছে “সব কা বিশ্বাস।” তাই অনেকেরই মত এবার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের বিষয়টিতেও নজর দেবেন নমো।
বেফাঁস মন্তব্যে রাশ- লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অনেক প্রার্থীকে নিয়েই আপত্তি ছিল জনাদেশে। তাঁদের মধ্যে বিতর্কে জড়ানো এক প্রকার স্বভাবে পরিণত হয়েছিল দলের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রার্থীর। তাঁদের মধ্যে মেলে গাঁও বিস্ফোরণে নাম জড়ান সাধ্বী প্রজ্ঞার বিতর্কিত মন্তব্য এক অন্য মাত্রা নিয়েছিল। যাতে দলের আবেগে আঘাত নেমে এসেছিল বলেই শোনা গিয়েছিল বিভিন্ন মহলে। তাই এই ধরণের বিতর্কিত মন্তব্যগুলিতে রাশ টেনে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখাতেই উদ্যোগী মোদী।
পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদ দূরীকরণ- দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ দূরীকরণে উদ্যোগী নরেন্দ্র মোদী। তার অনন্য উদাহরণ পুলওয়ামা হামলার প্রতিশোধ স্বরূপ বালাকোটে সারজিক্যাল স্ট্রাইক।