বাংলায় তাঁর দলের সন্ত্রাসে কোনও বিজেপি কর্মী মারা যাননি! ব্যক্তিগত শত্রুতা কিংবা অন্য কোনও কারণে মারা গিয়েছেন তাঁরা। তাঁদেরই শহীদ আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এমনই অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বুধবার রাতে শহীদদের নামের তালিকা দিয়ে টুইট করে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল নেত্রীর “ভান্ডা ফোঁড়” করে দেন। দু’পাতায় মোট ৩২ জন শহীদদের নাম প্রকাশ করে মেদিনীপুরের সংসদ সদস্য লেখেন, “এই শহীদদের বলিদানের ফলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির এই গৌরবোজ্জ্বল দিন এসেছে। তাই সকলকে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করি।” টুইটে একটিবারের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো নাম উল্লেখ করেননি দিলীপ। কিন্তু তাঁর নিশানা যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। 

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন রাজ্য থেকে নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারবর্গকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখার জন্য নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। তারপরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বদল করেন মমতা। লিখিত বিবৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। নরেন্দ্র মোদীজি আমার ইচ্ছে ছিল ‘সাংবিধানিক আমন্ত্রণকে’ গ্রহণ করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার। কিন্তু আমি কিছু মিডিয়া রিপোর্ট পাচ্ছি যে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলার থেকে ৫৪টি পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যারা নাকি বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের স্বীকার হয়েছে। আমি জোর গলায় বলছি যে বাংলায় কোন রাজনৈতিক খুন হয়নি। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা হয় কোনও পারিবারিক অশান্তিতে অথবা অন্য কোনও কারণে মারা গিয়ে থাকতে পারেন। এ রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক সন্ত্রাস হয় না।” যে তালিকা রাজ্য বিজেপি সভাপতি প্রকাশ করেছেন তাতে নাম রয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের পর পুরুলিয়ার বলরামপুরে নিহত দুই বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাতো এবং দুলাল কুমারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.