নদীয়া: আশ্রমে হরিনাম, গীতাপাঠ না বন্ধ করলে খুন করা হবে, হুমকি মুসলিম দুষ্কৃতীদের

নদীয়া জেলার নাকাশিপাড়া থানার অন্তর্গত কুবেরণগর গ্রাম। এই গ্রামেই একটি আশ্রম রয়েছে। আশ্রমটি স্থানীয় মানুষদের কাছে ‛সমর্পন আশ্রম’ নামে পরিচিত। বিগত ২০ বছর ধরে চলছে আশ্রমটি। প্রতিদিন সন্ধ্যা ও সকালে আশ্রমে ভক্তিভরে হরিনাম ও গীতাপাঠ হয়। এইভাবেই চলে আসছিল। কিন্তু আশ্রমে গীতাপাঠ ও হরিনাম হওয়ায় আপত্তি জানায় আশেপাশের কিছু সংখ্যালঘু পরিবার। তাঁরা জানায় যে, এতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি।

আশ্রমে গীতাপাঠ ও হরিনাম বন্ধ না হওয়ায় আশ্রম বন্ধ করার চেষ্টা স্বরূপ প্রধান অনিল রায়ের ওপর নানাভাবে অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাকে ফোন করে মুসলিম দুষ্কৃতীদের তরফে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনিল রায়। তিনি এই ঘটনা থানায় জানিয়েছেন এবং থানা থেকে নিরাপত্তার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। তারপরেও তাঁর আশঙ্কা কাটছে না।https://www.youtube.com/embed/8sauNJJ8HW4?feature=oembed&enablejsapi=1

 অনিল রায় বলেন, আশ্রমে কেন গীতাপাঠ ও হরিনাম হবে এবং তা বন্ধ করার জন্য ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ফোন করে খুনের হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে যে, নামাজের সময় গীতাপাঠ ও হরিনাম বন্ধ রাখতে হবে। না হলে বোমা মেরে আশ্রম উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, আশ্রমে যেসব ভক্ত গীতাপাঠ ও হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন, তাদেরকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর এর ফলে তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতা আজ প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি এও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে হয়তো মুসলিম দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে আশ্রমের গীতাপাঠ ও হরিনাম বন্ধ করে দিতে হতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.