স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে আত্মস্থ করে আজীবন জীবসেবা করে, রামকৃষ্ণলোকে যাত্রা করলেন দার্জিলিং রামকৃষ্ণ মিশন নিবেদিতা এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল সেন্টারের সেক্রেটারি স্বামী নিত্যসত্যানন্দ, সকলের বিশ্বরূপ মহারাজ।
‘তোরা মানুষের জন্য খেটে খেটে মরে যা’। স্বামীজী এই কথাকে সার করেই দুঃস্থ শিশুও নারী কল্যাণে বিশ্বরূপ মহারাজ কাজ করে গেলেন আমৃত্যু। প্রতি মুহুর্তে অন্যের জন্য চিন্তা। কাছে – দুরে যে যেখানে আছে কোন সমস্যা থাকলেই তার সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়া। কাজ, কাজ আর কাজ। আর সেই সঙ্গে perfection। কাজ নির্ভুল না করা অবধি নিস্তার নেই।
গদাধর অভ্যুদয় প্রকল্প, দুঃস্থ অনাথ শিশুদের পড়াশোনা, খাওয়া ও শরীরচর্চার এই জীবসেবা তাঁর হাত ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘোরিয়া থেকে পথচলা শুরু করে দার্জিলিংয়ের চাবাগানে আজও চলছে সাড়ম্বরে। তাঁর জীবন জুড়ে জীবসেবাই- দেবসেবা। করোনা পরিস্তিতিতে পাহাড় ও সংলগ্ন অঞ্চলে নিঃশব্দে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে গেছে নিয়মিত। তাঁর কথায় সে সব ছিল পুজো অর্ঘ্য। শুধু অতিমারীই নয় প্রতিনিয়ত চা বাগানে বস্তি গুলোতে তাঁর এ পুজো অর্ঘ্য পৌঁছে যায় জীবন্ত দেবতা স্বরূপ দুঃস্থ মানুষের কাছে। আজ কর্মযোগ আর কর্মনিষ্ঠার প্রতিমূর্তি বিশ্বরূপ মহারাজের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পাহাড় থেকে সমতলে তাঁর পূজিত জীবন্ত দেবতার দল।