রবিবার সকালেই উত্তরাখণ্ড থেকে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর আসে। রাজ্যের চামোলি জেলায় হিমবাহ ভেঙে নেমেছে ধস। তার ফলে বন্যা হয়েছে অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীতে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেন, উত্তরাখণ্ডের মানুষ যাতে নিরাপদে থাকেন, সেজন্য সারা দেশ প্রার্থনা করছে। তিনি নিজে সারাক্ষণ পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “উত্তরাখণ্ডে যে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আমি তার দিকে নজর রাখছি। উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে সারা ভারত।” পরে তিনি লিখেছেন, “আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। এনডিআরএফের কতগুলি টিম পাঠানো হল, ত্রাণের কাজ কীভাবে চলছে, আমি খবর রাখছি।”
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, “অসমে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তিনি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, ত্রাণকার্য কীভাবে চলছে।”
উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি লিখেছেন, “যোশীমঠের কাছে হিমবাহ ভেঙে ধস নামার খবরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়েছি। সেখানকার মানুষ যাতে নিরাপদে থাকে সেজন্য প্রার্থনা করি।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি আশ্বাস দেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম সাহায্য দিতে প্রস্তুত।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত টুইট করে বলেন, “চামোলি জেলা থেকে বিপর্যয়ের খবর এসেছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটিকে বলা হয়েছে বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে।” মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন, গুজবে কান দেবেন না। প্রশাসন সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
চামোলি জেলার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি টুইট করেছেন, “অলকানন্দার নিম্ন অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা আছে। নদীর তীরে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। তাঁদের সরিয়ে আনা হচ্ছে।”
চামোলি পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, ‘তপোবন রাইনি অঞ্চলে হিমবাহ ভেঙে পড়েছে। তার ফলে হৃষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতি হয়েছে। অলকানন্দা নদীতে জল বাড়ছে। নদীর তীরে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে আসতে বলা হচ্ছে।’
বন্যার ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করতে মানা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। টুইট করে তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার গোটা বিষয়টার ওপর নজর রাখছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি থেকে লোকজনকে সরানোর কাজ চলছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে এনডিআরএফ। ধসে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে যাঁরা আটকে পড়েছেন তাঁদের সাহায্যের জন্য দুটো হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। ১০৭০ অথবা ৯৫৫৭৪৪৪৪৮৬ নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করলে সেখানে দ্রুত পৌঁছে যাবে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।