উত্তরাখণ্ডে তুষারধস। রবিবার সকালে আচমকা জোশীমঠের কাছে হিমালয়ের হিমবাহ ভেঙে পড়ে। যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । এখনও পর্যন্ত ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে । নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ । এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এবিষয়ে উদ্বেব প্রকাশ করেন টুইট করেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুও।
এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ টুইটারে লেখেন, উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের কাছে হিমবাহ ভেঙে পড়ে ধ্বংসের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মানুষজনের সুরক্ষা ও সুস্থতার জন্য প্রার্থনা জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, উদ্ধারকার্য ও ত্রাণকার্য ভালভাবেই চলছে।
উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু টুইটারে লেখেন, উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় হিমবাহ ভেঙে পড়ার ফলে হড়পা বানে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের সুরক্ষার জন্য সারা দেশের মতো আমিও প্রার্থনা করছি। আমি নিশ্চিত, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার এই দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ তপোবনের কাছে হিমবাহে ফাটল ধরে হড়পা বান আসে। তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। রেনি গ্রামের তুষারধসের জেরে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে হৃষিগঙ্গার উপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের। নদীর দু’ধারে অবস্থিত অসংখ্য বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব ওমপ্রকাশ জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা ১০০-১৫০ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।উদ্ধার কাজে নেমেছে আইটিবিপি, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ।ধুলিগঙ্গার পাশের গ্রাম খালি করা হচ্ছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরও আশঙ্কা করছে উদ্ধারকারী দল। হরিদ্বার পর্যন্ত সমস্ত জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত, ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ডিজির সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে নজর রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ।