ম্যাচ শুরুর আগে ধারেভারে সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। সবুজ-মেরুন শিবির ১৪ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ছিল, সেখানে ওড়িশা এফসি (Odisha FC) ছিল টেবিলের লাস্ট বয়। তাঁদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৪ পয়েন্ট। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচের আগে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে রাখছিলেন অনেকেই। আর প্রত্যাশামতোই ওড়িশাকে একপ্রকার উড়িয়ে আইএসএলের প্লে-অফে ওঠার একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। সেই সঙ্গে শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটি এফসির (Mumbai City FC) সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানও খানিকটা কমিয়ে ফেলল হাবাস ব্রিগেড। এদিন সবুজ-মেরুনের জয়ে বড় ভূমিকা নিলেন পাঞ্জাব-তনয় মনবীর সিং এবং অবশ্যই অধিনায়ক রয় কৃষ্ণ। দুই তারকাই করলেন দুটি করে গোল।
আইএসএল (ISL) এই মুহূর্তে অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে। যাকে বলা হয় টুর্নামেন্টের বিজনেস এন্ড। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটা পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারালেও প্রথমার্ধে দলের পারফরম্যান্স একেবারেই সন্তোষজনক ছিল না। তাই এদিন দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামার আগে বাড়তি সতর্ক ছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ হাবাস। তাঁর দলের পারফরমান্সেও এদিন আমুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল। ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই যেন আক্রমণাত্মক ছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। একেবারে প্রথম থেকেই মনবীর, কৃষ্ণ, এবং মারসেলিনহো নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে ওড়িশার রক্ষণভাগকে রীতিমতো ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিলেন। যার পুরস্কার স্বরূপ ম্যাচের ১১ মিনিটেই মনবীরের পা থেকে প্রথম গোলটি তুলে নেয় এটিকে মোহনবাগান। তারপর প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও গোল আসেনি। উলটে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে কোল আলেকজান্ডার বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে এটিকে মোহনবাগান নামে খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো। একের পর এক আক্রমণে ওড়িশাকে বিঁধতে থাকেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। ৫৪ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেন মনবীর। এরপর ওড়িশাও দু’একটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগেনি। উলটে ৮৩ মিনিটে প্রথমে পেনাল্টি এবং পরে ৮৬ মিনিটে মনবীরের পাস থেকে গোল করে ম্যাচ একপেশে করে দেন রয় কৃষ্ণা। জয়ের ফলে এটিকে মোহনবাগানের সংগ্রহ ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের থেকে মাত্র ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা।