ভারতে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই ৪০ লাখের বেশি মানুষকে দেওয়া হয়েছে টিকা। মূলত স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকাকরণ শুরু হলেও মার্চ মাস থেকে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন। তিনি আরও জানালেন, ভারতে এই মুহূর্তে আরও সাতটি কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। আগামী দিনে আরও অনেক ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে যাতে প্রত্যেক ভারতীয়কে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়।
এই মুহূর্তে ভারতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন, এই দুটি ভ্যাকসিন সবাইকে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই সংবাদমাধ্যমের সামনে হর্ষ বর্ধন বলেন, “আমরা শুধুমাত্র এই দুটি ভ্যাকসিনের উপরেই নির্ভরশীল নই। আরও সাতটি ভ্যাকসিনের কাজ চলছে। তার সঙ্গে আমরা আরও ভ্যাকসিন তৈরি করার কাজ করেই চলেছি। কারণ ভারত অনেক বড় দেশ। তাই সবার কাছে পৌঁছনোর জন্য আমাদের অনেক বেশি ভ্যাকসিনের প্রয়োজন পড়বে। সেই কাজই আমরা করে চলেছি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই সাতটি ভ্যাকসিনের মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিন ট্রায়াল পর্যায়ে, দুটি প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টেজে, একটি প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল ও আর একটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে।
ডক্টর হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোভিড টিকাকে বাজারে নিয়ে আসার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। অর্থাৎ সরকারের কাছ থেকেই সবাইকে টিকা নিতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী দরকার পড়লে পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত ভাবে ও সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র জরুরি ভিত্তিতে এই কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যদি আমরা বাজারে এই ভ্যাকসিন ছেড়ে দিই তাহলে তার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”