ধর্মীয় শিক্ষার পাঠ নিতে মাদ্রাসায় পাঠিয়েছিলেন নিজের শিশু কন্যাকে। কিন্তু তাঁরা স্বপ্নেও ভাবেননি যে তাদের শিশু কন্যার ওপর নির্মম যৌন নির্যাতন করা হবে। পরে অবশ্য ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ছামসুদ্দিন বড়ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনা আসামের শিলচরের রাঙ্গিরখাড়ির ।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক মুসলিম দম্পতি তাদের কন্যাকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে শিলচর রামনগর মাদ্রাসায় পাঠিয়েছিলেন। সেই মাদ্রাসায় শিশুদের ইসলামিক শিক্ষার পাঠ দিতেন আরবির শিক্ষক ছামসুদ্দিন বড়ভূঁইয়া। সেখানেই পড়ানোর অছিলায় ওই শিশুকে যৌন নির্যাতন করে ওই আরবির শিক্ষক। এইভাবে বহু দিন ধরে এই নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। পরে শিশুটি বাড়িতে কোনোভাবে ঘটনার কথা জানায়।
তারপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ছামসুদ্দিন। পরে গত পরশু রাঙ্গিরখাঁড়ি থানায় শেষমেশ আত্মসমর্পণ করে ওই ব্যক্তি। তারপরেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।