৬ ফেব্রুয়ারি, শনিবার নবদ্বীপ থেকে শুরু হওয়ার কথা বিজেপির প্রথম ‘পরিবর্তন যাত্রা’র। সেই কর্মসূচির অনুমতি মেলে কি না সেদিকে নজর ছিল সবার। শেষ পর্যন্ত বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দিল জেলা প্রশাসন। বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় অবশ্য উচ্ছ্বাস প্রকাশে নারাজ। তিনি বলেন, ‘মমতা দিদির প্রশাসন অনুমতি দিলে দেবে। নাহলে আদালত নিশ্চই আমাদের দাবি বিবেচনা করবে।’
রাজ্যের ৫ জায়গা থেকে ৫টি ‘পরিবর্তন যাত্রা’ বার করার অনুমতি চেয়ে গত সপ্তাহে নবান্নে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। নবান্নের তরফে বিজেপিকে এব্যাপারে প্রতিটি জেলায় আলাদা করে আবেদন করতে বলা হয়। এর পর জেলায় জেলায় আলাদা আবেদন জানায় বিজেপি। করোনার সংক্রমণ এড়াতে রথযাত্রা কর্মসূচিতে সব ধরনের কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে আবেদন করেছে পুলিশ। বিজেপি নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়ে এব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। বিজেপির তরফে সেই চিঠির উত্তর পাওয়ার পর পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়৷
প্রশাসন অনুমতি দেওয়ার পরই বিজেপির উদ্দেশে টুইটে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। টুইট করে তারা দাবি করেছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও যাত্রার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেনি। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে। বিজেপি মুখ্যসচিবের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। তাঁর দফতর বিজেপিকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে। এই নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’
তবে বিজেপি সূত্রের জানা গিয়েছে, নবদ্বীপে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কর্মসূচির পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্ঘণ্ট এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা ১২টায় শুরু হবে জনসভা। দুপুর ২টোয় নড্ডা নামবেন চটির মাঠে। হেঁটে কয়েকশো মিটার দূরে মূল সভামঞ্চে পৌঁছবেন। সেখানে বক্তৃতা সেরে দুপুর সাড়ে ৩টেয় ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করে ফিরে যাবেন তিনি। ‘পরিবর্তন যাত্রা’র রথ এগিয়ে যাবে অন্য গন্তব্যের দিকে।
অন্যদিকে পরিবর্তন যাত্রার রুট প্রসঙ্গে জেলার এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, শনিবার নবদ্বীপ থেকে বেরিয়ে পরিবর্তন যাত্রা বিকেল ৫টায় ধুবুলিয়া হয়ে ৬টায় বেথুয়াডহরী পৌঁছাবে। ওইদিন ওখানেই রাত্রিবাস। পরদিন অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় যাত্রা শুরু করে পলাশীপাড়া দুর্গাবাড়ি হয়ে ১২টায় পৌঁছাবে দেবগ্রাম। দুপুর ১.৩০ মিনিটে পলাশীর প্রান্তর পার হয়ে পৌঁছে যাবে পাশের জেলা মুর্শিদাবাদ।