সরকারের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয় তাই শিল্পমহলকে এগিয়ে আসতে হবে বিনিয়োগের জন্য। এভাবেই বণিকসভায় গিয়ে শিল্পমহলকে লগ্নির জন্য আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বণিকসভার ফিকির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিংয়ে তিনি ভাষণ দেন। তখন অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার একা যদি ব্যাগভর্তি অর্থ আনেও, তাহলেও ভারতের আকাঙ্ক্ষা এবং বৃদ্ধির চাহিদা মেটাতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল অতি মহামারীর সময় শিল্পের জন্য। তিনি বলেছেন, আশাকরি শিল্পমহল বুঝতে পেরেছে কোন মনোভাবে বাজেট পেশ করা হয়েছে আর তার ফলে এবার সেই কাজে অংশ নিতে এগিয়ে আসুন । তিনি জানিয়েছেন, শিল্পক্ষেত্র আপাতত তাদের ঋণ মিটিয়ে অর্থের সংগতি করেছে এবং এবার তারা এগিয়ে আসুক অর্থলগ্নিতে সম্প্রসারণ ও বৃদ্ধির জন্য। এবার যেন দেখা যায় তারা যৌথ উদ্যোগে যাচ্ছে বিশেষত প্রযুক্তির কথা ভেবে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে সরকার গণ পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যয় করবে।তিনটি বড় বিষয় খরচ করতে চলেছে সেগুলি হল-পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং কৃষি। সীতারামন জানিয়েছেন, এই বাজেটে চেষ্টা করা হচ্ছে এককালীন কর বিহীন সম্পদ তুলে আনা যখন গোটা দেশের প্রয়োজন প্রচুর টাকার লগ্নি। তার মতে, এই বাজেটে কোনও রকম করের বোঝা না চাপিয়ে সম্পদ আনার চেষ্টা করা হয়েছে। বাজেটের দিশা পরিবর্তন করে উদ্যোগপতিদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা হয়েছে যাতে তারা উপযুক্ত সুযোগ পায়। বণিকসভা এই বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব অজয় ভূষণ পান্ডে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সংসদে সাধারণ বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। করোনা পরিস্থিতির এক কঠিন সময়ে তাঁকে বাজেট পেশ করতে হয়েছে। বাজেটে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণের দিকে জোর দিচ্ছে যাতে সরকারি খরচে জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা হয়। যদিও চলতি আর্থিক বছরে সরকার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১৭,৯৫৭ কোটি টাকা তুলেছে যেখানে বাজেটে ধরা হয়েছিল ২.১ লক্ষ কোটি টাকা।তবে শেয়ার বাজার এখন বেশ উপরে থাকায় তার সুবিধা নিতে চাইছে কেন্দ্র। বাজেটের পরে গত কয়েকদিন ধরে অবশ্য় শেয়ারা বাজার বেশ চাঙ্গা রয়েছে।