‘অযোধ্যায় মসজিদের জন্য সরকারের দেওয়া জমি আমাদের’

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অযোধ্যায় মসজিদ তৈরির জন্য উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। যে জমিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মসজিদ (Ayodhya mosque) নির্মাণের কাজ। কিন্তু বুধবার অপ্রত্যাশিতভাবেই নতুন এক সমস্যা দেখা দিল। দিল্লির দুই বোন দাবি করেন, কেন্দ্রের অনুমোদিত জমিটি আসলে তাঁদের। এমনকী, নিজেদের জমি ফিরে পেতে এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা।

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দিরই হবে। সেই ঐতিহাসিক রায় মেনে গত বছর ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপুজো হয়। মন্দিরের শিলান্যাস করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নির্মীয়মাণ সেই রাম মন্দির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মসজিদের জন্য ৫ একর জমি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সামনে এসেছে মসজিদ ও হাসপাতালের নকশাও। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন বিষয় সামনে এল। রানি কাপুর ওরফে রানি বালুজা এবং রমা রানি পাঞ্জাবি দাবি করেন, ওই জমির মালিক আসলে তাঁরা।


এলাহাবাদ কোর্টে আবেদনে তাঁরা জানিয়েছেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তাঁদের বাবা জ্ঞানচন্দ্র পাঞ্জাবি পাঞ্জাব থেকে ফৈজাবাদে চলে এসেছিলেন। এই এলাকা এখন অযোধ্যার মধ্যে পড়ে। ধন্নিপুর গ্রামের ২৮ একর জমি পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে লিজে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে তিনিই সেই জমি ভোগ করেছেন। রেভিনিউ রেকর্ডেও রয়েছে জ্ঞানচন্দ্রর নাম। তাই হিসেব মতো বর্তমানে ওই জমি রানি ও রমার।

যদিও পরবর্তীকালে সেই রেকর্ডের খাতা থেকে সরিয়ে জ্ঞানচন্দ্রর নামটি সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। যার বিরুদ্ধে অযোধ্যার অ্যাডিশনাল কমিশনারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেও পরে ফের একই ঘটনা ঘটে। কনসলিডেশন অফিসার বিষয়টি সমাধান করার আগেই ওই ২৮ একর থেকে পাঁচ একর জমি চলে যায় মসজিদের খাতে। আর সেই কারণেই এবার এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ দুই বোন। আদালতের লখনউ বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ওয়াকফ বোর্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.