জোড়াবাগানে ৯ নছরের নাবালিকার গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় যৌন নির্যাতন করে খুনের অভিযোগেই শিলমোহর দিল ফরেন্সিক। তাঁদের বিবরণে উঠে এল, ওই নাবালিকার উপর কী ভয়ঙ্কর পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছে অপরাধী! ঘটনাস্থল ঘুরে নমুনা সংগ্রহের পর ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট জানালেন, প্রথমে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। তারপর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের গলায় আড়াআড়িভাবে ছুরি চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই ছুরি।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, নাবালিকার চারটি দাঁত ভেঙে ঘটনাস্থলে পড়েছিল। নাবালিকার মাথার পিছন দিকের চুল টেনে ছেঁড়া হয়েছে। অপরাধীর হাত থেকে বাঁচার জন্য ৯ বছরের ওই নাবালিকা প্রতিরোধের আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। ঘটনাস্থলে ধস্তাধস্তির প্রচুর চিহ্ন মিলেছে। নিম্নাঙ্গের বস্ত্র ও অন্তর্বাস পরনে থাকলেও, গোপনাঙ্গ উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল। ছাদে হাওয়াই চটি পড়া ও খালি পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। এখন অভিযুক্তের পাশাপাশি বহু মানুষও খোঁজাখুঁজি করতে ছাদে উঠেছিলেন। ফলে প্রচুর পায়ের চাপে অভিযুক্ত এক না একাধিক, তা বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বোনের মধ্যে সে-ই সবথেকে ছোট ছিল। মাত্র ৯ বছর বয়স তার। কলেজ স্ট্রিটের একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিত পাঠরত ছিল ওই নাবালিকা। নাবালিকার বড় মামী আগেই জানান, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ, ১৬ বছর বয়সী মেজো দিদির সঙ্গে মামার বাড়িতে এসেছিল ওই নির্যাতিতা। এরপর রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাতেই জোড়াবাগান থানায় মিসিং ডায়েরি করেন পরিবারের লোকজনেরা। এরপর ভোর ৬টা নাগাদ মামার বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একটি তিনতলা বাড়ির ছাদে ওই নাবালিকার অর্ধ বিবস্ত্র, গলাকাটা, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
যৌন নিগ্রহ করে খুনের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি যে দুই বালিকার সঙ্গে নির্যাতিতা নাবালিকাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, অভিভাবকদের উপস্থিতিতে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।