লোকসভার নির্বাচনের প্রচার পর্বের কথা মনে পড়ে! নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাক যুদ্ধে কোথাও কোথাও রাজনৈতিক শালীনতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
তবে সে সব আপাতত অতীত। প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় বার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ওঁরা আজই চিঠি পাঠিয়েছে। আমি অন্য কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। এ টা যেহেতু একটি সাংবিধানিক অনুষ্ঠান তাই আমার ঠিক করেছি যে যাওয়া উচিত”। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “শেষ মুহূর্তে জানতে পেরেছি। মাঝে শুধু কালকের দিনটাই রয়েছে। পরশু সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ। ফলে যেতে হলে কালই যেতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার”।
কেন্দ্রে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সংসদীয় গণতন্ত্রের বড় অনুষ্ঠান বইকি। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতিই সবাইকে নিমন্ত্রণ করেন। এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এটা বরাবরেরই রীতি। এবারও মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে রামনাথ কোবিন্দের তরফেই নিমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে।
তবে রাষ্ট্রপতি নিমন্ত্রণ পত্র পাঠান বলেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই যে শপথ অনুষ্ঠানে যান, তা সব সময়ে হয় না। কেন্দ্রে শাসক দলের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত হলেও বহু সময়ে দেখা গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের মুখ্যমন্ত্রীরা অনুপস্থিত থাকেন। এ বারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত যাবেন কিনা তা নিয়ে দোলাচল ছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ দিন সেই ধোঁয়াশা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা যে অবস্থান নিয়েছেন তা খুবই ইতিবাচক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেমন সমন্বয়মূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কথা বলেন। তেমনই মমতাও যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে মজবুত করার পক্ষে। রাজনৈতিক বিরোধিতা যাতে সেই সমন্বয়ের পথে বাধা না হয় তার কথা দু’জনেই বলেন। মমতার এই অবস্থানকে এ দিন স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি-ও।