আত্মনির্ভরতা (Aatmanirbharta) – অতিমারীর ভারতে বারবার ফিরে ফিরে এসেছে এই শব্দ। অক্সফোর্ডের (Oxford) বিচারে সেটাই ২০২০ সালের সেরা হিন্দি শব্দ (Word Of The Year For Hindi In 2020)। তাদের মতে, করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে নামা অসংখ্য ভারতীয়র সাফল্যকে চিহ্নিত করতে এই শব্দটি একেবারে অব্যর্থ হয়ে উঠেছে। কৃতিকা আগরওয়াল, পুনম নিগম ও ইমোগেন ফক্সেলকে নিয়ে তৈরি উপদেষ্টা মণ্ডলী তাই গত বছর সবথেকে আলোচিত শব্দের মধ্যে থেকে এটিকেই বেছে নিয়েছে সেরা হিসেবে।
গত বছর লকডাউনের সময়ে এই শব্দটি ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। অতিমারী ও লকডাউনের ধাক্কায় বেসামাল ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথমবার ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই থেকে বছরজুড়ে নিয়মিত উঠে এসেছে আত্মনির্ভরতার প্রসঙ্গ। সেকথাই উল্লেখ করে ‘অক্সফোর্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস’-এর তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দেশকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ভাবে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রতিটি দেশবাসীকে। এরপর থেকেই শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ভারতীয় আমজনতার মধ্যে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিবরামকৃষ্ণন ভেঙ্কটেশ্বরনও জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মতো ‘অভূতপূর্ব’ এক বছরে ‘আত্মনির্ভরতার’ মতো এক শব্দই যেন করোনা প্রভাবিত দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার এক মন্ত্রের মতো হয়ে উঠেছিল। প্রসঙ্গত, দেশে টিকাকরণ শুরুর মুখেও প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেভাবে দেশে প্রস্তুত কোভিড ভ্যাকসিন দিয়েই দেশের মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা আত্মনির্ভর হয়ে ওঠারই প্রমাণ। গত ২৬ জানুয়ারির প্যারেডেও বায়োটেকনোলজি বিভাগের ট্যাবলোতে উঠে এসেছিল ‘আত্মনির্ভর ভারত’। যদিও প্রধানমন্ত্রীর মুখে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাককে বারবার কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। প্রসঙ্গত, এর আগের তিন বছর যে তিনটি হিন্দি শব্দ বর্ষসেরার শিরোপা পেয়েছিল সেগুলি হল আধার (২০১৭), নারীশক্তি (২০১৮), সংবিধান (২০১৯)।