রোজ ভাঙছে তৃণমূল। রবিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বালি খালের দুদিকের দুই বিধায়ক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া এবং উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তার মধ্যে আবার প্রাক্তন সাংবাদিক প্রবীরবাবুর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪২ বছরের পরিচয়। সোমবার ডাক যোগে চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূল ছেড়েছেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। পরিস্থিতি যখনই তখন সোমবার তা নিয়েই পুরনো দলকে খোঁচা দিতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার কালনার সভায় শুভেন্দু বলেন, “দেখছেন তো রোজ কেমন উইকেট পড়ছে? কালকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল আর আজকে তোলাবাজ ভাইপোর এলাকার দীপক হালদার! এখন রোজ উইকেট পড়বে।”
ডুমুরজলার মাঠ থেকে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা আর দক্ষিণ ২৪ পরগণায় তৃণমূলকে ফাঁকা করে দেবেন। তৃণমূল কোম্পানি করার লোক থাকবে না। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দেন দীপকবাবু। অনেকের মতে, উইকেট ফেলার কথা বলে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তিনি বাজার গরম করার জন্য কিছু বলেননি। যা বলছেন সেটাই হবে।
এদিনের কালানার সমাবেশে ভিড়ও ছিল ঠাসা।মাঠ ছাপিয়ে সেই ভিড় দুরের রাস্তা পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। আর তার মধ্যে দাঁড়িয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা। তোলাবাজি থেকে সরকারি চাকরির পরীক্ষা না হওয়া, কলেজ ছাত্র সংসদ ভোট বন্ধ করে রাখা থেকে ভোট লুঠ– একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
সেইসঙ্গে একদা লালঝান্ডার শক্ত ঘাঁটি গ্রামীণ বর্ধমানে দাঁড়িয়ে বামেদের উদ্দেশে শুভেন্দুর আবেদন, এবার ভোটটা বিজেপিকে দিন, তাহলেই পঞ্চায়েতে মনোনয়ন দিতে পারবেন।