কেন্দ্রীয় বাজেট সদর্থক। বাজেট নিয়ে খুশি বাংলার শিল্পমহল। বাজেটে সূদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি। বাজেটের মাধ্যমে পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে সংস্কার আরও মসৃণ হবে বলে করছে এই শিল্পমহল। একইভাবে এদিনের বাজেটকে সময়োপযোগী চিন্তার ফসল বলে মনে করছে বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের বাজেটের মূল ফোকাস ছিল দেশের ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনরুজ্জীবন। সেই কাজে বেশ খানিকটা সফল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এমনই মনে করছেন কেউ-কেউ। নতুন ফ্ল্যাট কিনলে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে ছাড় মিলবে বলে এদিন ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। গত বছর দেশজুড়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষেত্রের সঙ্গে কোটি-কোটি মানুষের রুজি-রোজগার জুড়ে রয়েছে।
বিষয়টির গুরুত্ব বিচার করেই আগেভাগে পরিকল্পনা সেরে রেখেছিলেন নির্মলা সীতামরণ। আজ বাজেটে পেশের সময় যার প্রতিফলন দেখা মিলল। নয়া ফ্ল্যাট কেনার প্রতি মানুষের উৎসাহ বাড়াতে আয় করে ছাড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও ৭৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য সুদ করমুক্ত করা হয়েছে। ৭৫ ও তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য সুদের উপর সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য জিরো কুপোন বন্ড যাতে বাজারে আসে, তার ব্যবস্থা করেছে এবারের বাজেট। এনআরআইদের জন্য ডাবল ট্যাক্সেশন যাতে না হয় তার জন্য নিয়মেরও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সিআইআই বা কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির কলকাতা শাখা অবশ্য এবারের বাজেট নিয়ে বেশ খুশি। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বিপুল বরাদ্দ নিয়ে বেশ খুশি শিল্পপতিরা। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে বাজেটে পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। একইভাবে বাজেটে বাংলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। যা নিয়েও বাড়তি উন্মাদনা শিল্পপতিদের মধ্যে।
বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট দেব মুখোপাধ্যায়ের মতে, এবারের বাজেটে পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে বিশেষ ফোকাস করা হয়েছে। এর জেরে কর্মসংস্থান বাড়বে। হেল্থ সেক্টরের জন্যও বড়া ঘোষণা করা হয়েছে। যা ইতিবাচক। অবশ্য করোনার কারণে এটা প্রত্যাশিতই ছিল। বাংলার জন্যও বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। এক কথায় সূদূরপ্রসারী, পজিটিভ বাজেট হয়েছে।’’
অন্যদিকে, বিসিসি অ্যান্ড আই-এর Indirect Tax Committee-এর চেয়ারপার্সন টিবি চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘বাজেট সদর্থক। লকডাউনের জেরে যে আর্থিক ক্ষতি সেটাতো জানাই ছিল। তবে বাজেটে ব্যক্তিগত আয় কর নিয়ে কোনও বলা হয়নি। আগের বছরের মতোই পুরনো কর কাঠামো রয়ে গেল।’’