অমিত শাহর মতো শেষ মুহূর্তে অনিবার্য কারণে বাতিল না হলে ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন আসছেন?
এমনিতে ভোট মরশুমে কোনও রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর সভা থাকলে তা সরকারি না রাজনৈতিক তা নিয়ে বিশেষ ফারাক থাকে না। কারণ, সরকারি অনুষ্ঠানে এলেও তার রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করে। বা এমন ব্যবস্থা করা হয় যেন তার রাজনৈতিক প্রভাব অনিবার্য হয়ে ওঠে।
তা ছাড়া সরকারি অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে তাঁর দলের নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেন। অতীতে মনমোহন সিংহও বাংলায় এসে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করতেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুটি প্রকল্পকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে আসছেন:
১) ধোবি দুর্গাপুর পাইপলাইন প্রকল্প। জগদীশপুর-হলদিয়া এবং বোকারো-ধামরার মধ্যে ৩৪৭ কিলোমিটার পাইপলাইন। এর জন্য গেইলের আনুমানিক খরচ হয়েছে ২৪৩৩ কোটি টাকা। ঝাড়খণ্ড ও দুর্গাপুরে দুটি সার কারখানায় এর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তা ছাড়া এর ফলে হাজারিবাগ, বোকারো, ধানবাদ, জামশেদপুর, পুরুলিয়া, আসানসোল ও দুর্গাপুরে শিল্প কারখানা ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য গ্যাস সরবরাহ করা যাবে।
২) হলদিয়ায় ভারত পেট্রোলিয়ামের একটি ইমপোর্ট টার্মিনাল। এর মাধ্যমে বাংলা, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের একাংশের গৃহস্থালির গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
এ ছাড়া ওই একই দিনে হলদিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পরিশোধনাগারে একটি ডিওয়াক্সিং ইউনিটের শিলান্যাস করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রের আরও খবর, দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়া মেট্রোর কাজ সম্পূর্ণ হলে ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী তা উদ্বোধন করে দেবেন। সেক্ষেত্রে, সব ঠিক থাকলে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে মেট্রো করেই প্রধানমন্ত্রী কালীঘাটের মন্দিরেও পুজো দিতে আসতে পারেন।
অনুষ্ঠানের ‘মিনিট টু মিনিট শিডিউল’ এখনও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় পাঠায়নি। তা স্থির করতে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এখন কলকাতায় রয়েছেন।
তবে সূত্রের মতে, স্থানীয় সাংসদ হিসাবে দিব্যেন্দু অধিকারী ও পাশের লোকসভা কেন্দ্র তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শিশির অধিকারী ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন। হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান হিসাবে সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন শুভেন্দু অধিকারীও।