মোদির শপথে সার্ক নয় বিমসটেক নেতারা আমন্ত্রিত

অন্যান্য প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাকা হলো না। পাকিস্তানকে এড়াতে আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলো ‘বিমসটেক’ সদস্যভুক্ত দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের। পাকিস্তান বিমসটেকের সদস্য নয়।

আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, প্রতিবেশী প্রথম নীতি মেনে এই আমন্ত্রণ। বিমসটেক সদস্যদের মধ্যে ভারত ছাড়া রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান। দক্ষিণ এশিয়ায় সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সার্ক অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় বিমসটেক-কে জোরালো করার দিকে এখন ভারতের নজর বেশি।

নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স
নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স
অন্যান্য প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাকা হলো না। পাকিস্তানকে এড়াতে আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলো ‘বিমসটেক’ সদস্যভুক্ত দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের। পাকিস্তান বিমসটেকের সদস্য নয়।

আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, প্রতিবেশী প্রথম নীতি মেনে এই আমন্ত্রণ। বিমসটেক সদস্যদের মধ্যে ভারত ছাড়া রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান। দক্ষিণ এশিয়ায় সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সার্ক অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় বিমসটেক-কে জোরালো করার দিকে এখন ভারতের নজর বেশি।

বিমসটেক সদস্য দেশ ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে। কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরনবে জিনবিকভ বর্তমানে সাংহাই কো-অপারেশনস অর্গানাইজেশন–এর সভাপতি। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ জুগনাথ সম্প্রতি প্রবাসী ভারতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেকটোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’ বা ‘বিমসটেক’ সদস্যদের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে মোদি সরকারের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিকে গুরুত্ব দেওয়া হলো। একই সঙ্গে এর মধ্য দিয়ে পশ্চিম প্রতিবেশী পাকিস্তানকেও এড়ানো সম্ভবপর হলো। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একদিন আগেই ফোন করে মোদিকে অভিনন্দিত করেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আলোচনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন। সেই থেকে জল্পনা চলছিল, আগেরবারের মতো এবারেও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না।

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনেক দিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। ভারতের ঘোষিত নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না। লোকসভার ভোটের আগে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জওয়ানের মৃত্যুর পর পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসীদের শিবিরে ভারত আক্রমণ চালিয়েছিল। ভোটের প্রচারেও সেটা বড় হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। প্রথম দফার শপথে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.