শুক্রবার অর্থাৎ আজ বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। করোনাকালে আর্থিক স্থবিরতা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেললেও, দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশ বলে জানান তিনি। এদিন পেশ হওয়া সমীক্ষায় বলে হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অর্থনীতি ৭.৭ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। তবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দ্রুতগতিতে ঘুরে দাঁড়াবে দেশ। অর্থনীতির ভাষায় জাকে বলা হয় ‘ভি শেপ রিকভারি’। আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ১১.৫ শতাংশ বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়। সরকারের আরও দাবি, ভ্যাকসিন এসে যাওয়ায় ১৯৯১ সালে বিশ্বায়নের পর ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হবে। তবে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বাজেট ঘাটতি আশঙ্কার চাইতেও বেশি দাঁড়িয়েছে। প্রথমকভাবে মনে করা হয়েছিল এবারের বাজেট ঘাটটি জিডিপি’র ৩.৫ শতাংশ।
এদিন কেন্দ্র সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মণ্যম জানান, করোনাকালে অর্থনীতির হাল ফেরাতে মানুষের হাতে নগদ টাকা পৌঁছে দিতে হবে সরকারকে। আর প্রধানমঅন্তরী জনধন যোজনার মাধ্যমে সেই পথেই হেঁটেছে সরকার। করোনাকালে কেন্দ্রের লক্ষ্য ছিল মানুষের প্রাণ রক্ষা করা। সেই পথে সঠিক দিশায় কাজ হয়েছে। সাময়িক কষ্ট সয়ে দীর্ঘ মেয়াদি লাভ পেয়েছে দেশ। লকডাউন না হলেও মহামারীর প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ত। তবে লকডাউনের পর প্রাণ ও জীবিকা বাঁচানোর ক্ষেত্রে সমন্বয় রক্ষা করে পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়েছে। এবারের বাজেটে পরিকাঠামো উন্নয়নের উপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারও বাজেট অধিবেশন হবে দুই পর্যায়ে। প্রথমটি চলবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, দ্বিতীয়টি চলবে ৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এবার বাজেট হবে পেপারলেস, অর্থাৎ আগের মত ব্রিফকেসে বাজেট নিয়ে আসার দৃশ্য হয়তো দেখা যাবে না। বাজেট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও আর্থিক সমীক্ষা অনলাইনে পাওয়া যাবে। টেবল অফ দ্য হাউসে বাজেট ও আর্থিক সমীক্ষা পেশের পরেই তা দেখা যাবে অনলাইনে, জানিয়েছে লোকসভা সেক্রেটারিয়েট।