আমেরিকায় রাজধানী ওয়াশিংটনে যে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছিল, তার থেকে খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না নয়াদিল্লির এই ঘটনা। সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর উত্তাল চেহারার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। পাথর বৃষ্টি, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ, এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সম্প্রতি হয়নি দেশে। আমেরিকায় হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছিল। এবার দিল্লির প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে ঘটা এই হিংসাত্মক ঘটনার জেরে পাঁচশোর বেশি অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে টুইটার। মাইক্রো ব্লগিং সংস্থাটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন,”আমরা হিংসা, অপব্যবহার এবং হুমকির প্ররোচনা দেওয়ার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে চাই। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এই ধরনের ঘটনায় হিংসা ছড়ানোর জন্য ট্যুইটার প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হয়। স্প্যাম এবং বিভিন্ন প্ল্যাট ফর্মের কারসাজিতে নিযুক্ত ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা”।
এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেছেন,”আমরা নির্ধারিত কিছু মাপকাঠি বজায় রাখার চেষ্টা করি। যেমন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়, তেমনই মানবিক পর্যালোচনা চলে। সেটা দেখেই টুইটার বিধি লঙ্ঘন প্রক্রিয়া আমরা ঠিক করি। মিডিয়া নীতির লঙ্ঘনকারী ধরার জন্য বিশেষ ধরনের লেবেল প্রয়োগ করা হয়েছে। আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেটা দেখা আমাদের কর্তব্য”।আসলে বর্তমান যুগে হিংসাত্মক ঘটনা শুধু শহর, গ্রাম বা রাস্তায় সীমাবদ্ধ নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এই অশান্তি এবং হিংসা কয়েক গুণ বেড়ে যায় বিভিন্ন মাইক্রো ব্লগিং সাইটের মাধ্যমে। বিদেশ থেকেও বসে বসে একটা পোস্ট করে হিংসা ছড়িয়ে দেওয়া যায়। তাই সাবধান যে হতেই হবে।