এই প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় যে ঘটনা টা আমরা অবাক হয়ে দেখলাম, তার দায়িত্ব বোধহয় আমরা কেউই এড়াতে পারিনা।
দিনের পর দিন এই তথাকথিত চাষাভুষো রা BMW তে এসে, foot massage নিয়ে footage খেয়েছে, আর আমরা বসে সমবেদনা র জল খসিয়েছি।
বোকাবাক্সয় ঘন্টাখানেক নষ্ট না করে কেউ যার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন বলা হচ্ছে সেই কৃষি বিল টা নেড়েচেড়ে ও দেখিনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাজনাথ সিং জী বলেছেন, এমনকি শীর্ষ আদালত স্থগিতাদেশের নির্দেশ ও দিয়ে দিয়েছেন। তার পরেও কিসের আন্দোলন, কেন এ জিনিস চলছে, কেন রাস্তায় পড়ে মারা যাওয়া কৃষক কে কেউ পিজ্জা দূরস্থান দুটো রুটিও দিল না? এগুলো কেউ জানতে চাইনি। বারবার বলা সত্ত্বেও অর্নব কে বিকৃত আর বিক্রীত বলে বাংলা ভাষার মহিমা নিয়ে হ্যাজ নামিয়েছি। লাভ হয়েছে কিছু বিদেশী শক্তির আর এ দেশে তাদের প্রতিভূ ‘ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও দলের’।
আজ যখন ভারতের পতাকা নিয়ে ছেলে খেলা হচ্ছে, তখন কংগি রা দায় এড়াচ্ছে, আর চির নিলাজ কম লাল দাদা রা নাগপুরের গেরুয়া পতাকা নিয়ে হ্যাজ নামানো হবে কিনা, তাই নিয়ে গোপন বৈঠক করছেন। ওদিকে উদ্বাহু নেত্য জুড়েছে পাকিস্তান, স্বাভাবিক ভাবেই। প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতের লালকেল্লায় ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকার পাশে পতপত করে উড়তে থাকা খলিস্তানি পতাকা যে ভারতের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে তা ওরা ভালোই জানে।
ওদিকে দিল্লির রাজপথে ইচ্ছাকৃত ভাবে লাগানো হয়েছে দাঙ্গা। ভারতীয় TV Channel যথারীতি ট্রাক্টর ওল্টানো দেখাতে ব্যস্ত, রাজপথে খোলা তরোয়াল, মরতে বসা পুলিশ কিছুই তাদের লেন্সে ধরা পড়েনা।
মজার ব্যপার কৃষক রা, তাদের নেতারা, সবাই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর খেলা য় নেমেছেন। জল আর একটু ঘোলা করে মূল ব্যপার থেকে দৃষ্টি সরানোর নির্লজ্জ এই চেষ্টাও পূর্বপরিকল্পিত। বিভেদকামী বিরোধী শক্তি এই অসভ্যতায় ইন্ধন জুগিয়েছে শুধু এই দিনটার জন্যই।
এবার একটু চোখ খুলুন, কারন আপনি বালিতে মুখ লোকালেই শেয়াল অন্ধ হয়ে যায়না, বরং তার সুবিধা হয়।
সমস্বরে দেশের নেতৃত্বকে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলুন ‘শুঁটিয়ে লাল করে দিন, নোংরামি বার করে দিন।’ এই ভাষাই আমাদের অসভ্য প্রতিবেশী, আর তার অবৈধ সন্তান রা বোঝে।
ADITYA