পাক সীমান্তে যেখানে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরানোর খুশিতে দেশবাসী উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা। তখন কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের এক শিল্পনগরীতে বায়ুসেনা চালকের ফেরার খুশিতে নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারলেন না সামান্য টোটোচালক। আনন্দচ্ছ্বাস ভাগ করে নিলেন সকলের মধ্যে। খুশীর আনন্দে শহরে পথচলতি মানুষকে করালেন মিষ্টিমুখ। তার আনন্দে সামিল হয়ে স্বাগত জানালেন শহরবাসী।
টোটোচালক পিন্টু সেন। দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর বি-জোনের বাসিন্দা। সংসারে দুই মেয়েকে নিয়ে সেন দম্পতির সংসার। টোটো চালিয়ে যা রোজগার হয়, তাতেই সংসার চলে। স্কুল জীবন থেকেই সামাজ সেবায় জড়িয়ে। বিভিন্ন সময় যখনই বিশ্বের দরবার দেশের মাথা উঁচু হয়েছে, তখনই টোটোর মধ্যে কখনও লাড্ডু, কখন মিষ্টি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর তাই শুক্রবারও তাই করলেন।
উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান যখন পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছেন, তখন একদিকে যেমন তার পরিবার পরিজন দুঃশ্চিন্তায় প্রতিটা মুহূর্ত কাটিয়ে আনন্দের হাসিতে মুখরিত, তেমনই দুর্গাপুরের ওই টোটোচালক পিন্টুবাবুও খুশীর আবেগে ভাসলেন। টোটোতে ভারতমায়ের ছবি ও উয়ং কমান্ডারের ছবি লাগিয়ে শহরের প্রাণ কেন্দ্র সিটি সেন্টারে মিষ্টি মুখ করালেন পথচলতি সমস্ত মানুষকে। তার এই আনন্দচ্ছ্বাসকে স্বাগতর পাশাপাশি সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
পিন্টুবাবু জানান,” দেশকে ভালবাসতে হলে আলাদা কোন পরিচয়ের দরকার হয় না। সীমান্তে যখন কমান্ডারের মুক্তি নিয়ে ব্যাস্ততা সেনাদের, তখন সেই আনন্দটা শহরবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।”