স্পেশাল অপারেশনে গিয়ে মাওবাদীদের আক্রমণের মুখোমুখি সেনা-পুলিশ স্পেশাল ফোর্স। আইইডি বিস্ফোরণে ১১ জনের জখম হওয়ার খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, জখমদের মধ্যে সিআরপিএফ, কোবরা ব্যাটেলিয়নের জওয়ান এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশের কয়েকজন রয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের চিকিৎসার জন্য উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাঁচিতে।
ঝাড়খণ্ডের সরাইকিলা খারসওয়া জেলার কুচাই এলাকায় এই ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ। পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদীদের গোপন আস্তানা খুঁজতেই নিয়োগ করা হয়েছিল এই স্পেশাল ফোর্স। যার মধ্যে ছিলেন সিআরপিএফ, ২০৯ কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়নের কোবরা (কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশন) জওয়ানেরা এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশএর বিশেষ বাহিনী। সেনা-পুলিশ কনভয় যাওয়ার পথেই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। গুরুতর জখম হন ১১ জন।
লোকসভা নির্বাচন শুরুর আগে থেকেই ঝাড়খণ্ডে আতঙ্ক তৈরি করছিল মাওবাদীরা। সরাইকিলা খারসওয়া জেলারই নিমডি থানার ঘুটাডি গ্রামে মাওবাদীদের নামাঙ্কিত দু’টি পোস্টার উদ্ধার হয়েছিল। ‘ভারত কি কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)’ নামাঙ্কিত ওই পোস্টারে লেখা ছিল, ‘এনকাউন্টারের’ জন্য পুলিশ আধিকারিকদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। আর একটিতে লেখা রয়েছে, হিন্দুত্ব ফ্যাসিবাদী ধংস করে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই পোস্টার মাওবাদীদেরই কি না সেটা জানতে সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনীর অধীনে তল্লাশি শুরু হয়েছিল ঝাড়খণ্ড-পুরুলিয়া লাগোয়া এলাকাগুলিতে। সতর্ক করা হয়েছিল থানাগুলিকেও।
তদন্তকারীদের কথায়, ভোট মিটতেই এলাকায় নাশকতা চালাতে পারে মাওবাদীরা এমন সম্ভাবনা ছিলই। সেই জন্যই শুরু হয়েছিল এই তল্লাশি অভিযান। আগে থেকেই খবর পেয়ে তাই সেনা-পুলিশ কনভয়ে হামলা চালায় মাওবাদীরা।
এ দিকে ছত্তীসগড়ে গত দু’মাস ধরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে মাওবাদীরা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ছত্তীসগড় সীমানায় মহারাষ্টের গড়চিরৌলিতে আইআইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৬ জনের। সেই রেশ কাটতে না কাটতে ফের হামলা হয় সুকমার কিস্তারাম এলাকায়। প্রাণ যায় দুই গ্রামবাসীর। চতুর্থ দফার নির্বাচনের আগের দিন ছত্তীসগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের গুলিতে প্রাণ যায় দুই পুলিশ কর্মীর। জখম হন আরও এক। ভোট শুরুর দু’দিন আগে ৯ এপ্রিল মাওবাদীদের ঘটানো বিস্ফোরণে নিহত হন দন্তেওয়াড়ার বিজেপি বিধায়ক ভীমা মাণ্ডভি। সেই সঙ্গে আরও চার নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়।