নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের শিবরামপুর থেকে ঘোলপুকুর পর্যন্ত কৃষক সুরক্ষা অভিযান উপলক্ষে পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরে নন্দীগ্রামে ঘোলপুকুরে একটি জনসভা করেন। জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নন্দীগ্রামে আগামী বিধানসভা ভোটে হারানোর হুমকি দেন শুভেন্দু অধিকারী। জনসভার পরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় মতোই আজ নন্দীগ্রামে কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন করেন।
নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের শিবরামপুর থেকে ঘোলপুকুর পর্যন্ত কৃষক সুরক্ষা অভিযান ও এক মুঠো চাল উপলক্ষে এক পদযাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুন নায়েক সহ একাধিক নেতৃত্ব পদযাত্রায় মেলান। পদযাত্রার শেষে একটি জনসভা মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। আজকের মঞ্চ থেকে তিনি হুঙ্কারের সঙ্গে বলেন, নন্দীগ্রামের ১৪টি অঞ্চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে উদ্দেশ্য করে মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের ১৪টা অঞ্চলে ভোকাট্টা করে দেব।’’
আজকের নন্দীগ্রামের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে কে দাঁড়াবে সেটা দল ঠিক করবে। ৩টি অঞ্চলে তৃণমূল কিছু ভোট পেতে পারে। বাকি ১৪টা অঞ্চলে জিতবে বিজেপি। এখানে তৃণমূল নেত্রীকে আমি নিশ্চিত হারাব।’’ নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু জোর গলায় বলেন ‘‘এই মাটি আমি চিনি। ২০০৪ সালে আমি লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন আমাকে কেউ চিনতেন না। আমি হেরে গিয়েছিলাম। বাম প্রার্থীর সঙ্গে ব্যবধান ছিল মাত্র ৫ হাজার। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে জিতেছিলাম ৯০ হাজার ভোটে। ২০১৪ সালের লোকসভাতেও আমার জয়ের ব্যবধান ছিল ৮৫ হাজার। এর পর ২০১৬ বিধানসভা জিতেছিলাম ৮২ হাজারেরও বেশি ভোটে।’’
নন্দীগ্রামে আজকের পদযাত্রা ও সভার শেষে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মত তিনি এক কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজনের খাওয়া-দাওয়া সারেন। নন্দীগ্রামের থেকে তিনি ভগবানপুরে যান। ভগবানপুরের দ্বারিমারাতে তিনি একটি জনসভা করেন।