লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর বিজেপির লক্ষ্য এবার রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবার রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করে রাজ্যসভা থেকে সহজেই যেকোন প্রকল্প পাশ করিয়ে নিতে চায়। রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই এনডিএ অতই সহজেই বিল পাশ করিয়ে নিতে পারবে। যেটা বিগত পাঁচ বছরে এনডিএ অথবা মোদী সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিন তালাক, মোটর ভেহিকল আইন, সিটিজেনশিপ বিল এর মোট গুরুত্বপূর্ণ বিল গুলো এবার রাজ্যসভা থেকে পাশ করিয়ে নিতে পারবে বিজেপি তথা এনডিএ।
লোকসভার সদস্যদের মতো রাজ্যসভার সদস্যদের ভোট দিয়ে জনতা নির্বাচিত করতে পারেনা। তাঁদের নির্বাচন রাজ্যের বিধানসভা আর বিধানমণ্ডলের নির্বাচিত সদস্য দ্বারা করা হয়। যেই দলের কাছে যত বেশি বিধায়ক থাকবে, তাঁরা তত বেশি সাংসদ রাজ্যসভায় পাঠাতে পারবে। রাজ্যসভা সাংসদদের কার্যকাল ৬ বছর পর্যন্ত থাকে। আর লোকসভা সদস্যদের কার্যকাল ৫ বছর পর্যন্ত। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, রাজ্যসভার সব সাংসদ লোকসভার সাংসদদের মতো একসাথে নির্বাচিত হননা।
গত বছর স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার ভারতীয় জনতা পার্টি কংগেসকে পিছনে ফেলে রাজ্যসভায় সবথেকে বড় দল হিসেবে উঠে আসে। ২৪৫ টি আসনের রাজ্যসভায় এনডিএর সাংসদের সংখ্যা ১০১। কংগ্রেসের ৫০ সমেত কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের ৬৬ জন সাংসদ রাজ্যসভায় আছেন।
নভেম্বর ২০২০ এর মধ্যে এনডিএ রাজ্যসভায় আরও ১৯ টি আসন পেতে চলেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ উত্তর প্রদেশ, বিহার, গুজরাট, তামিলনাড়ু, আর মধ্যপ্রদেশ থেকে আসবে। এই প্রাপ্ত আসন গুলো পাওয়ার পরেই এনডিএ জোটের আসন সংখ্যা ১২৫ হয়ে যাবে। ২৪৫ টি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে, যেকোন জোট অথবা দলের ১২৩ জন সদস্য থাকা আবশ্যক। আর এরপরেই বিগত ১৫ বছরে ভারতের এটাই প্রথম কোন সরকার হবে, যাদের রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে।