সোমবার ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অজয় কুমার, অসমের রাজ্য সভাপতি রিপুন বোরা এর পর পাঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতি সুনীল জাখর রাহুল গান্ধীকে নিজের ইস্তফা পত্র তুলে দেন। এর আগে অশোক চৌহান, রাজ বব্বর আর কমলনাথ ও এরকম করেছেন। তবে সবার আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ইস্তফা পেশ করেছিলেন। কিন্তু শনিবার কার্যসমিতির বৈঠকে ওনার ইস্তফা না মঞ্জুর করা হয়।
পাঞ্জাব পার্টি সভাপতি সুনীল জাখর নিজে গুরুদাসপুর লোক্সভা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী সালি দেওল এর বিরুদ্ধে হেরে যান। অসমের কথা বললেন, সেখানকার ১৪ টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জয় হাসিল করতে পেরেছে কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ডের কথা বললে, সেখানকার ১৪ টি লোকসভা আসনের মধ্যে কেবল মাত্র একটি আসনেই জয়লাভ করতে পেরেছে কংগ্রেস। আর বিজেপি সেখানে ১১ টি আসন দখল করেছে।
এই কারণেই এই তিন রাজ্য থেকে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতিরা ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তিনজন সভাপতিই নির্বাচনে খারাপ প্রদর্শনের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে ইস্তফা দেন। শুধু রাজ্য সভাপতিই না, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী নিজেও ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি করার পর ওনার উপরে চরম আস্থা রেখেছিল কংগ্রেস। কিন্তু রাহুল গান্ধীর আমলেও সেরকম ফলাফল করতে পারেনি কংগ্রেস। তবে রাহুল গান্ধীর কাঁধে ভরসা করে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান আর ছত্তিসগড়ে জয় হাসিল করে নিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেসব রাজ্যেও লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছিল।