কর্ণাটক সরকার নিয়ে শুরু বিতর্ক থামার নামই নিচ্ছে না। অনেক কংগ্রেস বিধায়কের বিজেপির হাত ধরে সরকার ফেলে দেওয়ার প্ল্যান করছে বলেই খবর। আর এরই মধ্যে রাজ্য কংগ্রেসের নেতা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক কে এন রঞ্জনা বলেন, কর্ণাটক সরকার ততদিনই আছে, যতদিন নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ না নিচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদীর শপথ নেওয়ার পরেই সরকার ভেঙে যাবে বলে জানান তিনি।
কংগ্রেস নেতা কে এন রঞ্জনা বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়া পর্যন্তই জি. পরমেশ্বর কর্ণাটকে ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী পদে আছেন। প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পর, পরমেশ্বর আর উপ মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না, এবং সরকারও থাকবে না। আগামী ১০ ই জুনের মধ্যে কর্ণাটকের সরকার ভেঙে যাবে।” যদিও ওনার কথার বিপরীতে কর্ণাটকের মন্ত্রী এমবি প্যাটেল বলে, জোটের কোন বিধায়কই বিজেপিতে যাচ্ছেন না। বিজেপি এর আগেও সরকার ভাঙার চেষ্টা করেছিল, আর ভবিষ্যতেও করবে, কিন্তু বর্তমান সরকার তাঁদের সময়সীমা পূরণ করবে।
এর আগে কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিধারামাইয়া একটি টুইট করে লেখেন, ‘বিএস ইয়েদুরাপ্পা সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও, সরকার গড়ার কথা বলছে। এটা কোন নতুন নাটক না, এটা হল মানুষদের মনে ভ্রম ছড়ানোর পুরানো কৌশল। শ্রী নরেন্দ্র মোদী সংবিধানের আগে মাথা ঝোঁকায়, কিন্তু সংবিধানের কোন ধারা কেই বিজেপির সরকার মানেনা।”
আরেকদিকে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী পরমেশ্বর মানুষদের ভরসা দিচ্ছে যে, কর্ণাটক সরকারের উপর কোন বিপদ নেই। পরমেশ্বর শুক্রবার বলেন, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে মতামত এসেছে, এরপরেও এক বছরের পুরানো জেডিএস-কংগ্রেস যত সুরক্ষিত আর স্থির। উনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের উপর কোন বিপদ নেই। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী আমাদের নেতৃত্বে থাকবেন, কারণ জোটে থাকা সমস্ত বিধায়কই বিজেপির সরকার ভাঙার প্রচেশ্তা ব্যার্থ করার জন্য প্রস্তুত।”
আপনাদের জানিয়ে রাখি, রাজ্যে কংগ্রেস-জেডিএস এর সরকার থাকলেও লোকসভা নির্বাচনে চরম খারাপ ফল করেছে শাসক দল। রাজ্যের ২৮ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২৫ টি আসনেই থাবা বসিয়েছিল। জেডিএস আর কংগ্রেস একটি একটি করে আসন পেয়েছিল। আরেকদিকে বিজেপি সমর্থিত নির্দলীয় প্রার্থী অম্বরিশ একটি আসন দখল করেন।