চিন আগ্রাসন দেখালে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না, হুঁশিয়ারি বায়ুসেনা প্রধানের

গত বেশ কিছু মাস ধরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চিনের মধ্যে পরিস্থিতি খানিক উত্তপ্ত। সেনা মোতায়েন করেছে দু’দেশই। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যেই চিনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদোরিয়া। বললেন, চিন আগ্রাসন দেখালে ভারতও ছেড়ে কথা বলবে না।

২০ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজস্থানের যোধপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে ভারতীয় বায়ুসেনা ও ফরাসি বায়ুসেনার যৌথ মহড়া ‘ডেজার্ট নাইট-২১’ চলছে। সেখানেই গিয়েছলেন ভাদোরিয়া। শনিবার মহড়া শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

ভাদোরিয়া বলেন, “যদি ওরা আক্রমণাত্মক হয় তাহলে আমরাও আক্রমণাত্মক হব। আমরা পুরোপুরি তৈরি আছি। ছেড়ে কথা বলব না।”

লাদাখ সীমান্তে মাঝেমধ্যেই আকাশে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানদের মহড়া দেখা যায়। সেটা যুদ্ধ বা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা জন্য কিনা সেই প্রশ্ন বায়ুসেনা প্রধানকে করা হলে তিনি বলেন, “দ্বি-পাক্ষিক মহড়া কোনও দেশের বিরুদ্ধে করা হয় না। সেটা করা হয় দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভাল করার জন্য এবং যারা মহড়ায় যুক্ত তাদের দক্ষতা আরও বাড়ানোর জন্য। তবে যেটা দেখা যাচ্ছে না, সেটা যে হচ্ছে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। পূর্ব সীমান্তেও অনেক মহড়া চলছে।”

ইতিমধ্যেই আটটি রাফাল যুদ্ধবিমান ফ্রান্স থেকে ভারতে এসেছে। এই মাসের মধ্যে আরও তিনটি চলে আসবে বলেই জানিয়েছেন ভাদোরিয়া। তিনি বলেন, “পাইলটদের অনেক প্রশিক্ষণ হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে সব যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তি হয়ে যাবে।” ফ্রান্সের থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে ভারত।

বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, “ভারত ১১৪টি মাল্টিরোল ফাইটার এয়ারক্রাফট কিনতে চাইছে। তার মধ্যে রাফাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রাফাল ছাড়াও সুখোই-৩০-সহ অন্যান্য যুদ্ধবিমানের দিকেও নজর রাখছি আমরা। ইতিমধ্যেই সব কাজ হয়ে গিয়েছে।” বায়ুসেনার এই তৎপরতা থেকে পরিষ্কার আকাশে সুরক্ষায় কোনও রকমের ঢিল দিতে নারাজ তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.