নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে এসে ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর উপর জোর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার আহ্বান জানালেন মোদী।‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বণি, ক্ষুব্ধ শুনে মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তৃতা না দিয়ে চলে যান। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। নেতাজিই ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর পক্ষপাতি ছিলেন। সেই কথা এদিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানালেন মোদী। নেতাজিকে স্মরণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেতাজি বলেছিলেন, স্বাধীনতা চাইব না, স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেব। তিনিই বলেছিলেন, ভারত ডাকছে, এখন সময় নষ্ট করার সময় নেই। যে নতুন ভারত তৈরি হচ্ছে, যদি দেখতে পেতেন, তাতে নেতাজি সন্তুষ্ট হতেন।’
কৃষিক্ষেত্র, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, করোনা মোকাবিলায় দেশীয় পদ্ধতিতে প্রতিষেধক তৈরি, অন্য দেশকে প্রতিষেধক
দেওয়া, এইমস, আইআইটি, নতুন প্রযুক্তির শিক্ষাব্যবস্থা নতুন ভারত, ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার নজির এটা এদিন জানিয়েছেন মোদী। এটাই নেতাজির মূল ইচ্ছা ছিল, আর সেই কাজে বর্তমান ভারত ব্রতী হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী জানিয়েছেন, ‘ভারত আজ নিজেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। সেনাবাহিনী থেকে বিজ্ঞান সব ক্ষেত্রেই ভারত আত্মনির্ভর হয়েছে। আজ ভারত মহামারীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে, প্রতিষেধক নিজেই তৈরি করেছে, তা দেখলে গর্ববোধ করতেন নেতাজি। এলএসি থেকে এলওসি সব জায়গাতেই নেতাজির দেখানে পথেই চলছে ভারত। নেতাজির আদর্শ ছিল আত্মনির্ভর হওয়ার,’ ভিক্টোরিয়া থেকে নেতাজি স্মরণে জানালেন মোদী। এরই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন নেতাজির জন্মদিন এবছরের মত প্রত্যেক বছরই ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে সোজা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যান নরেন্দ্র মোদী। এদিন ৪টে ১৬ নাগাদ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী । ভিক্টোরিয়ায় তাকে বিজেপি নেতারা অভ্যর্থনা জানায়। তারপরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বর ঘুরে দেখেন। প্রটোকল মাফিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় উত্তরীয় পরিয়ে মোদীকে বরণ করেন। এর পর, পাপন-উষা-সৌমজিতের উদ্বোধনী সঙ্গীতের পর মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
2021-01-24