বাংলাদেশ-ভুটানকে উপহার স্বরূপ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে এবার বাণিজ্যিক ভাবে ভ্যাকসিন রপ্তানির পথে ভারত। বিশ্বের আরও অন্তত ৯২টি দেশ ভারতের কাছে এই ভ্যাকসিন কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাণিজ্যিক ভাবে ইতিমধ্যেই ব্রাজিল এবং মরোক্কোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিমানে করে পাঠানো হয়েছে এই ভ্যাকসিনের ডোজ। ২০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে COVID-19 ভ্যাকসিনের জন্য চিঠি লেখেন। তিনি চিঠিতে জানান, “ব্রাজিলিয়ান সরকার কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে ন্যাশনাল ইমিউনিজেশন প্রোগ্রাম চালু করেছে” এবং ব্রাজিলিয়ান সরকার নির্বাচিত ভ্যাকসিনগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (কোভাক্সিন) এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (কোভিশিল্ড)।”
প্রসঙ্গত ব্রাকিল প্রথমে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন নিয়েছিল। তবে ব্রাজিলে এই ভ্যাকসিন তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। এরপরেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করে ব্রাজিল।
দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশেও খুব শীঘ্রই এই ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মায়ানমার ও বাংলাদেশ উভয় দেশই ভারত থেকে ৩০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার চুক্তি করেছে। ১২ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছে নেপালও। ১৫ লক্ষ কোভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ লক্ষ কোভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে ব্রাজিল।
এছাড়া থাইল্যান্ড, সিসিলি, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মরিশাস সহ আরও অনেক দেশ ভারতের কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন বাণিজ্যিক ভাবে কিনতে চেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানও এই ভ্যাকসিন কেনার ব্যাপারে ভারতের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য ১৬ জানুয়ারি ভারতে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। দেশব্যাপী টিকা কর্মসূচী শুরু করার সাত দিন পরেই বাণিজ্যিক ভাবে টিকা সরবরাহের রাস্তায় হাঁটল কেন্দ্র। তবে প্রথমে অবশ্য প্রতিবেশী দেশগুলিকে ভ্যাকসিন উপহার স্বরূপ দিয়েছে কেন্দ্র।