বাংলায় নির্বাচন কমিশন, রয়েছে পর পর দুটি বৈঠক

বুধবারেই রাজ্যে উপস্থিত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বৈঠক হয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে। কমিশনের চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা আফতাবকে জানিয়েছেন, মন প্রাণ খুলে কাজ করুন। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, একটি নয় দুটি বৈঠক হওয়ার কথা। একটিতে ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে। সেখানে একযোগে সমস্ত বিরোধী দলগুলি তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দুর্নীতি ও সন্ত্রাস নিয়ে সরব হবে বিরোধীরা। পালটা তৃণমূলও ঘুঁটি সাজিয়ে প্রস্তুত। তেমনটা হলে যে লোকসভায় বিজেপির এত আসন বাড়তে পারত না, তাই বক্তব্য থাকবে ঘাসফুল শিবিরের।

অপর একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। সেখানে জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট তলব করেছে বেঞ্চ। এই বৈঠকে কথা হতে পারে নির্বাচনের সময় রাজ্যের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ওপরে। ফুল বেঞ্চের বৈঠকের আগে জেলাশাসকদের বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব।

উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে গিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন যে রাজ্যে ১০০ শতাংশ শান্তি ফিরলে তবেই হবে ভোট। পাশাপাশি উপ নির্বাচন কমিশনার কমিশনারের হুঁশিয়ারি, কর্তব্যে কোনও গাফিলতি থাকলে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের মতো সরকারি আধিকারিকদের সরাসরি অপসারণ করা হবে। শো–কজের সুযোগও দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, করোনার মধ্যে ভোট হওয়াতে এবারে নির্বাচন কমিশনের থাকছে অতিরিক্ত প্রস্তুতি। বাড়ানো হতে পারে নির্বাচনের পর্যায় সংখ্যাও। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন সংগঠিত করতে চাইছে কমিশন। কোভিড আবহে কমিশনের সিদ্ধান্ত, এ বার ভোটকেন্দ্রে সর্বাধিক ১০৫০ জন ভোটার থাকবেন। রাজ্যে বুথ রয়েছে ৭৮ হাজারের কিছু বেশি। প্রশাসনিক সূত্রের ধারণা, নতুন বিধিতে কমবেশি ২৯ হাজার বুথ বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.