ভুটান-মালদ্বীপের পর নেপাল-বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিল ভারতের ভ্যাকসিন

ভুটান-মালদ্বীপের পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও নেপালে কোভিড ভ্যাকসিন পাঠাল ভারত৷ নেপালে প্রায় ১০ লক্ষ এবং বাংলাদেশে ২০ লক্ষ ডোজ পাঠানো হচ্ছে৷

নেবারহুড ফাস্ট পলিসি’র অংশ হিসাবে ভুটান, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার এবং সেশেলসে ভ্যাকসিন পাঠাবে ভারত৷ আজ ভোরে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছয় সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ‘কেভিশিল্ড’৷ এখান থেকে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে রওনা দেয় বিমান৷ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয় সকাল ৮টায়৷

ভ্যাকসিন পাঠানোর আগে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, রেমডেসিভির এবং প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সরবরাহ করেছিল ভারত৷ এছাড়াও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিপুল পরিমাণে ডায়গনস্টিক কিট, ভেন্টিলেটর, মাস্ক, গ্লাভস এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীও সরবরাহ করেছিল নয়াদিল্লি৷ নেপাল ও বাংলাদেশ উভয়েই সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছে৷
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বিশ্ব মানবের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রয়োজনে বিশ্বস্ত অংশীদার হতে পেরে সম্মানিত ভারত৷ তিনি টুইট করে বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য পরিষেবার বিশ্বস্ত সঙ্গী হতে পেরে গর্বিত ভারত৷ আগামীকাল থেকেই বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে৷ আগামী দিনে আরও বেশি করে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে৷’’ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘বিশ্ব ফার্মেসি কোভিড চ্যালেঞ্জকে কাটিয়ে উঠবে৷’’

বুধবার ভারতের কাছ থেকে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন উপহার হিসাবে পায় ভুটান৷ এর পরেই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং বলেন, বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছ থেকে এই উপহার এসেছে৷ প্যান্ডেমিকের সময়েও ভুটানের পাশে থেকেছে ভারত৷ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিও৷
করোনার পরিস্থিতিতে পারস্পরিক সহযোগিতার উদ্দেশে গত বছর তিনটি বৈঠক করেছিল চিন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ভারতই প্রথম দেশ যারা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে করোনা টিকা পাঠালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.