গতকাল নন্দীগ্রামে সভা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখান তিনি নিজেকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এবং তিনি এও বলেছিলেন যে, নন্দীগ্রাম আর ভবানীপুর ওনার কাছে বড় বোন আর মেজো বোনের মতো তাই তিনি ভবানীপুরকেও নিরাশ করবেন না। ম্যানেজ করতে পারলে তিনি ভবানীপুর থেকেও দাঁড়াবেন। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করার পর, আজ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুটি আসন থেকে লড়তে দেবেন না বলে হুঙ্কার দেন।
এর আগেই শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যেদিন নন্দীগ্রামে সভা করবেন, তাঁর ঠিক পরের দিনই তিনি পাল্টা সভা করবেন। সেখান থেকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাব দেবেন। পূর্বসূচি অনুযায়ী আজ খেজুরিতে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ বিজেপির এই সভায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সমেত বিজেপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক আক্রমণ করে যান। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হতাশাগ্রস্ত, বিগত ৫ বছরের একবারও নন্দীগ্রামের কথা মনে আসেনি ওনার।” শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘আপনি যাই করুন না কেন, সবার আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লেটার হেড ছাপিয়ে রাখুন। আগামী দিনে কাজে আসবে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আপনাকে কোনোভাবেই দুটো আসনে লড়তে দেব না। হয় ভবানীপুর, নাহলে নন্দীগ্রাম। যেকোনো একটি আসনে লড়ুন।
আরেকদিকে, আজকের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেইমান বলে কটাক্ষ করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন যে ভবানীপুর থেকে দাঁড়িয়ে তিনি লাভ করতে পারবেন না। এই কারণে তিনি দুটি আসন থেকে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়িয়েও কোনও সুবিধা করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের মানুষ ওনাকে চিনে নিয়েছে।”