নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করলেন বিজেপি নেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ‘ভাইপো’ ভোগী বলে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার পালটা সভা ছিল বিজেপির। তৃণমূলের মঞ্চ থেকে একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সভা করেন আজ শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভাতেই এদিন উপস্থিত হয়েছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেত্রী।
তিনি বলেন, দলে এখন যা পরিস্থিতি তাতে তৃণমূলে শুধু পিসি আর ভাইপো থাকবে। আর কেউ থাকবে না। একজন লোভী! অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে এভাবে আক্রমণ করেন। আর ভাইপো ভোগী বলে মন্তব্য লকেটের। আর তৃণমূলে যারা ঘাম ঝরাল, তারা এখন দল ত্যাগ করে চলে যাচ্ছে বলে দাবি তাঁর। পরিস্থিতি যা হবে তাতে দলে শুরু পিসি আর ভাইপো পড়ে থাকবে বলে খেজুরির সভায় তৃণমূলকে আক্রমণ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।
একই সঙ্গে বর্তমান তৃণমূল সরকারকে ভাঁওতাবাজির সরকার বলে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে ৭৫ ইউনিট ফ্রি বিদ্যুৎ ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করেন। লকেট বলেন, ৭৫ ইউনিট ফ্রি বিদ্যুৎ পেতে গেলে ঘরে আলো বন্ধ করে বসে থাকতে হবে।
একই সঙ্গে আমফানে চাল, ত্রাণ চুরিকে কেন্দ্র করেও আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, আমফানের সময় কেন্দ্রের পাঠানো ত্রাণের চাল চুরি হয়ে যাচ্ছে। আর তাতে নাম জড়াচ্ছে দলেই নেতা-মন্ত্রীদের নাম। একই সঙ্গে তাপসী মালিককে নিয়েও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করছেন বলে মন্তব্য করেন লকেট।
উল্লেখ্য, সোমবারই নন্দীগ্রামের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাপসী মালিককে ভুলিনি! সিঙ্গুর আন্দোলনকে ভুলুনি। আর সেই বিষয়টিকে তুলে এনেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন। সাংসদ বলেন, তাপসী মালিকের বেদি ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছে। কোনও দিন গিয়েছেন উনি!
সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন লকেট বলেন, একবার ওখানে চাষ হচ্ছে আরেকবার বলছেন শিল্প হবে। সেখানকার মানুষের অবস্থা শুনেছেন কখনও।