দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হলেই প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন৷ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নয়াদিল্লি৷ সেই মতোই এবার বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি অক্সফোর্ডের টিকা কোভিশিল্ডের ২০ লক্ষ ডোজ পাঠাতে চলেছে ভারত৷ আগামী ২০ জানুয়ারি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছবে কোভিশিল্ড৷
আপাতত এটাই চূড়ান্ত পরিকল্পনা৷ সেই মতোই শুর হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি৷ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল প্রফেসর আবুল বাসার মহম্মদ কুর্শিদ আলম এই বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন৷ সোমবার ঢাকায় সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘ভারত সরকার উপহার হিসাবে বাংলাদেশে কোভিড ভ্যাকিসিনের কিছু ডোজ বাংলাদেশে পাঠাবে৷’’ পরবর্তী পর্যায়ে বাণিজ্যিক পথেই ভারতের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনবে ঢাকা৷
ভ্যাকসিন নিয়ে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ বাংলাদেশে নোঙর করবে ২৫ জানুয়ারি৷ গত বছর নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল ও সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া একটি চুক্তি সাক্ষর করে৷ এই চুক্তি অনুযায়ী ভারতের কাছ থেকে কোভিশিল্ডের ৩ কোটি ডোজ কিনবে ঢাকা৷
চুক্তি অনুযায়ী ৩ কোটি ডোজের জন্য এসআইআই দেবে বাংলাদেশ সরকার৷ এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল বিতরণের ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করবে তার জন্য আলাদা ভাবে টাকা পাবে৷ বেক্সিমকো বাংলাদেশের একচেটিয়া ডিসট্রিবিউটার৷ এছাড়াও কোল্ড চেইন, আমদানি, স্টোরেজ এবং ভ্যাকসিন সরবরাহের দায়িত্ব রয়েছে তাদের কাঁধেই৷
গত ১৬ জানুয়ারি শনিবার থেকে ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি৷ এর পরেই পড়শি দেশগুলিতে ভ্যাকসিন পাঠানোর পরিকল্পনা নেয় কেন্দ্র৷ গত বছর বাংলাদেশ সফরে গিয়ে টিকা নিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিঙ্গলা৷ তিনি জানিয়েছিলেন নয়াদিল্লির কাছে অগ্রাধিকারের তালিকায় সবার আগে থাকবে বাংলাদেশ৷
ভারতে গণটিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হলেই প্রতিবেশী দেশে কোভিড ভ্যাকসিন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। কথা মতোই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা পৌঁছে দেবে ভারত।”