পাঁচ বছর পর আজ নন্দীগ্রামে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি তৃণমূলের প্রথম প্রার্থী হিসেবে নিজের নামও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, একুশের নির্বাচনে তিনি এবার নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে দাঁড়াবেন। তিনি এও বলেন যে, নন্দীগ্রাম ওনার খুব লাকি জায়গা। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলের জয়ের শুভ সূচনা হবে। তবে ভবানীপুরকে নিরাশ করবেন না বলে জানান তিনি। ম্যানেজ করতে পারলে দুই কেন্দ্র থেকেই লড়ার ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের জনসভায় নন্দীগ্রামের ৯ জন শহীদ পরিবারে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ৩০ টি শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিল। আজকের এত কম শহীদ পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপস্থিতি নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বেড়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী আজ নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ১০ টি নিখোঁজের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেন।
আজ নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরিপ্রার্থীদের প্ল্যাকার্ডও দেখা গিয়েছে। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার মাঝেই চাকরির দাবি নিয়ে যুবকদের প্ল্যাকার্ড তুলতে দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যেই ভিডিও পাওয়া গিয়েছে, সেখানে চাকরি প্রার্থীদের দুটি প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে। যদিও আমাদের দ্বারা এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব ওঠেনি।
একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘দিদি আমরা একটা করে কিডনি দিচ্ছি, বিক্রি করে চাকরি দিন”। আরেকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘দিদি আপনাকে আমরা বারবার চিঠি দিয়েছি। দিদিকে বলো-তে ফোনও করেছিল। ফলাফল শূন্য।”
আরেকদিকে, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে প্রার্থী করার পর, শুভেন্দু অধিকারী আজ কলকাতার সভা থেকে ঘোষণা করেন যে, যদি দল চায় তাহলে তিনিই নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াবেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কমপক্ষে ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন যে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫০ হাজার ভোটে না হারাতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
শুভেন্দু অধিকারীর এই ঘোষণার পর বঙ্গের নির্বাচন যে আরও ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে সেটা বলাই বাহুল্য। আরেকদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকে বিজেপি সমেত সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলোই কটাক্ষ করেছে।