মোদীজি এখনও আসেননি, তাতেই দিদিমণির নৌকো টলমল করছে: দিলীপ ঘোষ

কথায় বলে মাঘের শীত বাঘের গায়েও কাঁপুনি দিয়ে যায়। আলিপুর হাওয়া অফিস বলছে আরও দুতিনদিন এই হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা থাকবে। কিন্তু বাংলার রাজনৈতিক আবহাওয়া যেন মে মাসের গনগনে দুপুর!

আর সেই উত্তাপ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিল সোমবার। একদিকে দুপুরে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। অন্যদিকে, বিকেলে দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির মিছিল ও সভায় শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের যুদ্ধংদেহি মেজাজ। সেই মেজাজেই রাসবিহারী থেকে দিলীপ বললেন, “এখনও বাংলায় মোদীজি আসেননি। তাতেই দিদিমণির নৌকো টলমল করছে।”

এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মেদিনীপুর, বোলপুর আর বর্ধমানে শুধু একটু অমিত শাহ আর জেপি নাড্ডা এসেছিলেন। তাতেই লম্বা লিস্ট চলে এসেছে। সবাই বলছেন যোগ দেবেন। আমি তো চিন্তা করছি এত ঝাণ্ডা দেব কী করে।”

এমনিতে দিলীপবাবুর মুখে গরম গরম কথা লেগেই থাকে। এদিন কার্যত ফিল্মি কায়দাতেই রাজ্য সভাপতি বলেন, “এটা তো ডেমো ছিল, পুরো সিনেমা এখনও বাকি।” তৃণমূলের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারির সুরে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “ফেব্রুয়ারির পর বহু জায়গায় পার্টি অফিস খোলার লোক পাবে না তৃণমূল!”

এদিন বিজেপির মিছিলে ইট, পাথর ছোড়া নিয়েও আক্রমণ শানান দিলীপ ঘোষ। জীবনের বড় সময় আরএসএস করতেন দিলীপবাবু। সঙ্ঘের শাখা করার সুবাদে শারীরিক কসরতেও সাবলীল তিনি। ভাল লাঠি খেলতে পারেন। এদিন সেসব স্মরণ করিয়ে দিতে চান দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, “আমার মুখ চলে বলে অনেকে আমায় দুর্মুখ বলেন। আমি তাঁদের বলছি, আমার দুটো হাতও চলে। প্রয়োজন পড়লে দেখিয়ে দেব।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে খাস তাঁর এলাকায় দাঁড়িয়ে দিলীপের চ্যালেঞ্জ, গঙ্গার ওপারে একটাও সিট পাবে না তৃণমূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.