করোনা বিরোধী লড়াইয়ে নেমে পড়েছে দেশ৷ শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণের পর্ব৷ ঠিক হয়েছিল প্রথম দু’দিনে টিকা পাবেন প্রায় ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৭৫ জন৷ কিন্তু দেখা গেল এই দু’দিনে নির্ধারিত সংখ্যার ৬৪ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন৷ রাজ্যগুলির থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য সেকথাই বলছে৷
দেশের চার রাজ্য তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, ত্রিপুরা এবং পুদুচেরীতে সবচেয় কম সংখ্যক মানুষ টিকা পেয়েছেন৷ মাত্র ২২-৩৪ শতাংশ৷ সেই তুলনায় অন্যান্য রাজ্যের টিকাকরণের পরিমাণ কিছুটা বেশি৷ ১৬ এবং ১৭ তারিখ টিকাকরণের জন্য যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, তার প্রায় ৫০ শতাংশ উপস্থিত হয়েছে৷ অসম, দিল্লি এবং জম্মু-কাশ্মীরে ৫৪ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও জনস্বাস্থ্য কর্মসূটির মতোই কোভিড টিকাকরণের ক্ষেত্রেও ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বৃদ্ধি পাবে৷
রবিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে প্রথম দু’দিন টিকা পেয়েছেন ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৩০১ জন৷ ৩ ক্ষ ১৬ হাজারের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, তার নিরিখে যা প্রায় ৭১ শতাংশ৷ তবে রাজ্যগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে এর কিছুটা বৈষম্য রয়েছে৷
প্রথম দিন টিকাকরণের ক্ষেত্রে সংখ্যার নিরিখে বিশ্বে বাকি দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে দেশ৷ আমেরিকা, ব্রিটিশ এবং ফ্রান্সের থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত৷ এমনটাই জানিয়েছেন অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব মনোহর আগনানি৷
মেদান্তা লিভার ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. এএস সোনি বলেন, ‘‘প্রথম দিন টিকাকরণ কর্মসূচি খুবই সুসংগঠিত ও মসৃণ ভাবে হয়েছে৷ তবে এই মুহূর্তে আমাদের সামনে দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ প্রথমত, টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধা ও ভয় রয়েছে৷ দ্বিতীয়ত, টিকাকরণের সংখ্যা ৫ থেকে ২০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হলে লজিস্টিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে৷’’
টিকাকরণ শুরু হলেও মানুষ এখনও সম্পূর্ণ মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়৷ বহু মানুষই দ্বিধার মধ্যে রয়েছে৷ মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মাতে এখনও সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷