সেটা আটের দশকের শেষের দিক। রামজন্মভূমি আন্দোলনে দেশজুড়ে রথযাত্রা বের করেছিল বিজেপি। বলা হয়, ওই একটা কর্মসূচিই দেশের কোণায় কোণায় পৌঁছে দিয়েছিল বিজেপির নাম।
বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে সেই রথযাত্রারই পরিকল্পনা নিচ্ছে বিজেপি। গত শুক্রবার অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির নেতাদের বৈঠকে এ ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলেও খবর।
বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, পাঁচটি রথযাত্রা বেরোবে সারা রাজ্যে। যা ছুঁয়ে যাবে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র। ফেব্রুয়ারির দ্বিতী সপ্তাহে এই কর্মসূচি শুরু হতে পারে বলে খবর। চলতে পারে এক মাস।
ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টন সম্পন্ন করেছে। মনে করা হচ্ছে সেই জোন ভিত্তিতেই এই রথযাত্রার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালেও জায়গায় রথযাত্রা করার পরিকল্পনা করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। আদালতে গড়িয়েছিল রথযাত্রা মামলা। রাজ্যের তরফে সেই সময়ে আদালতে বলা হয়েছিল, রথযাত্রা যে যে পথ দিয়ে যাবে সে পথে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। রাজ্যের গোয়েন্দা রিপোর্টে তেমনই তথ্য উঠে এসেছিল বলে আদালতে জানিয়েছিল নবান্ন।
শেষপর্যন্ত সেই রথযাত্রা হয়নি। জায়গায় জায়গায় সমাবেশ করেছিল বিজেপি। এবার এই রথযাত্রা নিয়ে নবান্ন কী ভূমিকা নেয় এখন সেটাই দেখার।
ইতিমধ্যেই লিখিত বা অলিখিত সমন্বয় কমিটির তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি। তাতে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, সংগঠন সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং শুভেন্দু অধিকারী। এঁদের মাথায় থাকবেন জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহ।
জানুয়ারির শেষে বাংলায় আসতে পারেন অমিত শাহ। ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য দুবার আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর মার্চে এসে ১৫ দিন থাকতে পারেন বলে খবর।