শুক্রবার থেকে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত ত্রিপুরা। ইতিমধ্যেই এই ঝড়বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে হাজারের উপর বাড়িঘর। গৃহহীন হয়েছেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৭০০-র বেশি মানুষকে এনে রাখা হয়েছে ত্রাণশিবিরে। বাকিদেরও উদ্ধারের কাজ চলছে। এই ঝড়বৃষ্টিতে এই রাজ্যের একটা বড় অংশের জনজীবন বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।
ত্রিপুরার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের অধিকর্তা শরৎ দাস জানিয়েছেন, “শুক্রবার থেকে হওয়া প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর ত্রিপুরা, উনাকোটি ও ধলাই জেলা। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অনেকেই আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৪০টি নৌকা কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই উদ্ধারের কাজে ন্যাশনাল ডিসাস্টার রেসপন্স ফোর্স ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসও যোগ দিয়েছে।”
স্টেট এমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৩৯ জনকে উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৫৮ জন উনাকোটি ও ৩৮১ জন উত্তর ত্রিপুরার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, এই ঝড়বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯টি ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এই ঝড়বৃষ্টিতে প্রচুর গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ফলে রাজ্যের একটা বিরাট অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত হয়েছে। এর ফলে উদ্ধারকাজে আরও সমস্যা হচ্ছে। শনিবার বিকেল থেকেই উনাকোটি জেলায় মানু নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবারও এই রাজ্যে এই ধরণের ঝড়বৃষ্টি চলবে। এতে আরও চিন্তায় প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৪ ঘণ্টা কাজ চালানো হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের তরফে রাজ্যবাসীকে জানানো হচ্ছে, তাঁরা যেন ভয় না পান। কাউকে রাস্তায় বেরাতে বারণ করা হয়েছে।