স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে নার্সিংহোমের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরল রোগী, অবশেষে মৃত্যু হল বাড়িতেই!

রানাঘাটের বিবপুরের সভা থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বললেন, ‘অনেক সময় দেখছি অনেক বড় বড় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা দিতে চাইছে না, আমরা তাদের সঙ্গে মিটিং-এ বসে বলব এই প্রকল্প করতেই হবে। অন্যদিকে জেলার ছোট ছোট নার্সিংহোমগুলোর উদ্দেশ্যে বলছি, এরপরও যদি কেউ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা দিতে না চায়, তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা কিন্তু সরকারের হাতে আছে’।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সার! আবারও স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড নিয়ে দেখা গেল বেনিয়ম। কার্ড থাকা স্বত্বেও রোগীকে ফিরিয়ে দিল শিলিগুড়ির একাধিক নার্সিংহোম। এরফলে বাড়িতেই প্রাণ হারালেন বছর ৭০ এর বৃদ্ধ। এই ঘটনার পর গতকাল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। বৈঠকের পর মন্ত্রী জানান, অনেক নার্সিংহোমকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। কোনও নার্সিংহোম যদি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখানো স্বত্বেও রোগীকে ফিরিয়ে দেয়। তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত এবং কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার।

বেশ কিছুদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ গফফর। প্রথমে চিকিৎসার জন্য ওনাকে জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপর স্বাস্থের অবনতি হলে ওনাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। মহম্মদ গফফরের পরিবার অভিযোগ করে জানান যে, সুস্থ হওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতাল থেকে ওনাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে বাড়িতে এসে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

এরপর রোগীকে নিয়ে শিলিগুড়ির একের পর এক নার্সিংহোমে ঘুরলেও কোথাও চিকিৎসা পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখে নার্সিংহোম গুলো জানিয়েছিল যে, এই কার্ডে চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। এরপর অসহায় হয়ে রোগীকে বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার বাড়িতেই মৃত্যু হয় মহম্মদ গফফরের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.