প্রথমে চিনা টিকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিনের মুখ পুড়িয়ে সেই টিকা কার্যত ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। এবার ভারতের দ্বারস্থ হল ব্রাজিল। শনিবার থেকে ভারতে শুরু হতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। তার আগে ব্রাজিল জানিয়েছে ভারতের সাহায্য চায় তাঁরা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, বিশেষ বিমান পাঠানো হচ্ছে ভারতে, যার সাহায্যে ভারত থেকে ভ্যাকসিন দেশে নিয়ে যেতে চাইছে ব্রাজিল।
কমপক্ষে দুই মিলিয়ন ডোজের জন্য আবেদন করেছে ব্রাজিল। মুম্বইতে বিমান পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে যে বিমান পাঠানো হয়েছে, তাতে রয়েছে বিশেষ তাপমাত্রা যার মাধ্যমে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা যাবে ভ্যাকসিন। এই সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাজিল ভারত থেকে ভ্যাকসিন দেশে নিয়ে যেতে চাইছে। এই বিষয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কত দ্রুত এই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়, তার সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জার বোলসোনারো চলতি সপ্তাহেই একটি চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেখানে ভ্যাকসিন ব্রাজিলে পাঠাতে আবেদন করেন তিনি। সেরাম ইনস্টিটিউট যে কোভিশিল্ড প্রস্তুত করছে, সেই ডোজ দুই মিলিয়ন চেয়েছে ব্রাজিল। ভারতে হতে চলা মাস ভ্যাকসিনেশনে যাতে কোনও ভাবেই প্রভাব না পড়ে, সেই দিকেও নজর রাখা উচিত বলে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন।
এর আগে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আওতাধীন এই মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে তবে ভ্যাকসিন পেতে পারেন মানুষ বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করতেই হবে। কারা কারা ভ্যাকসিন পাবেন, আর কারা পাবেন না, সেই বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. কৃষ্ণ এল্লা বলেন, ‘‘এই টিকা শুধুমাত্র ১৮ উর্ধ্বদের জন্য৷ শিশু বা কিশোরদের জন্য নয়৷ শিশুদের জন্য পৃথক ভাবে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে৷’’ তিনি আরও জানান, ‘‘এই টিকা প্রস্তুত হতে প্রায় ছয় মাস লেগে যাবে৷ কোভ্যাক্সিন শিশুদের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে৷’’ তবে এই মুহূর্তে করোনা টিকা যে কোনও ভাবেই শিশুদের উপর প্রয়োগ করার কোনও অনুমতি নেই, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি৷