সত্যিই কি বিজেপিতে যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন? যা জানালেন দিলীপ

“আজকে নয়, সবাই জানে কেডি সিং কে। দশ বছর ধরে এটা চলছে। সিবিআই, ইডি যে মামলা করেছে তার উপরেই তদন্ত চলছে। তিনি যদি কিছু না করে থাকেন, তাহলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। উনি যদি কিছু করে থাকেন তাহলে ওনাকে এর জবাব দিতে হবে।”

বুধবার হাওড়ায় যোগদান মেলায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

মুকুল রায়কে সবার আগে গ্রেফতার করা উচিত বলে তৃণমূলের দাবি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কাকে কাকে গ্রেফতার করা হবে তৃনমূল কি বলবে? তাহলে তো ওদের পুরো পার্টিটাই বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের ইডি এবং সিবিআইয়ের প্রতি সম্পূর্ণ ভরসা আছে। তদন্তে যার নাম আসবে তাঁদের কাছেই সমন যাবে। তৃণমূল আগে নিজের ঘর সামলাক।”

অন্যদিকে, কেডি সিংয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে হাওড়ায় মুখ খুলেছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংও। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কেডি সিং গ্রেফতার হয়েছে কারণ হয়তো ২০১১এর নির্বাচনে তার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তৃণমূলের পার্টি অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল। হয়ত সেই লেনদেনের তথ্য ইডির হাতে এসেছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

সবাই বলছে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে গ্রেফতার হননি কিন্তু কেডি সিং বিজেপিতে যোগ দেননি বলে তাকে গ্রেফতার করা হল। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানান, মুকুল রায় কে তা আগে জানতে হবে ।

উনি তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান ইন কমান্ড ছিলেন। মুকুল রায়ের দল ছাড়ার কারন ভাইপো। দিদিমণি কি ভাইপো ছাড়া কারও কথা শোনেন ? মুকুল রায় টাকা নিয়েছে এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে ?

তিনি বলেন, টাকা সরকারি দিদিমণির কাছে যেত। মুকুল রায় যেহেতু দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন তাই সবাই ভাবে মুকুল রায় টাকা নিয়েছে। মুকুল রায়কে হাতে কলমে কোনওদিন টাকা নিতে দেখা যায় নি বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “আমাদের ওরা ভয় পায় সেইজন্য আমাদের নামে এফআইআর করা হয়। এদের কোনও কাজ নেই কি করা যাবে। ওইজন্যই আমাদের বিরুদ্ধে কেস করে। এফআইআর করে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আমাদের দলে আসেন তাহলে স্বাগত।” তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা যার বিরুদ্ধে সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে, সেই শ্রীকান্ত ঘোষের বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,”যারা তৃণমূলের সঙ্গে থাকতে পারেননি চলে আসছেন। যারা চলে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে। সত্যি সত্যিই কেউ অন্যায় করলে তার বিচার হবেই।”

উল্লেখ্য, বুধবার বিজেপি যুব মোর্চার তরফে হাওড়ায় ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত র‍্যালি ও যোগদান মেলা কর্মসূচি নেওয়া হয়। র‍্যালি শুরু হয় দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ। এরপর ছিল বিজেপির যোগদান মেলা।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং, রাজ্য সহ সভাপতি সাংসদ অর্জুন সিং, রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, হাওড়া সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.