আইপিএস অফিসার তথা কলকাতার প্রাক্তন নগরপালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা সিবিআই। তদন্তের নামে সারদা কেলেঙ্কারির প্রচুর প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
পুলিশ কর্তা রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে সিবিআই। গত শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন অভিবাসন দফতর এই নোটিশ জারি করেছে। ওই নির্দেশ অনুসারে কোনোভাবেই আর দেশ ছেড়ে বাইরে যেতে পারবেন না রাজীব কুমার। তেমন কোনও খবর পেলেই অভিবাসন দফতরকে তাঁকে আটক করতে হবে এবং সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আইপিএস কর্তা রাজীব কুমারকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাঁকে আটক করতে গেলে সিবিআই কর্তাদের বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়। তাঁর জন্য ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিলং-এ গিয়ে তাঁকে জেরা করে সিবিআই। রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও একটি নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সেই নির্দেশের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কোনও মুহূর্তেই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই।
সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন,‘‘সারদা তদন্তে যে কোনও সময় প্রয়োজনে আমরা রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে পারব, এমন অধিকারটুকু পাওয়া দরকার ছিল। সর্বোচ্চ আদালতের রক্ষাকবচ সরে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়েছে। এখন আদালতের প্রক্রিয়া মেনে যা করার করা হবে। সিবিআই তাড়াহুড়ো করবে না।’’ ওই মুখপাত্রের দাবি, ‘‘গরিব আমানতকারীদের টাকা প্রভাবশালী কয়েক জন আত্মসাৎ করেছেন। সিবিআইয়ের কাছে সেই প্রমাণ রয়েছে। সিটের সদস্যরা তাঁদের বাঁচাতে সক্রিয় ছিলেন কি না, সেটা সিবিআই দেখবে। কেউ ছাড় পাবেন না।’’
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজীবকে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে সিআইডি’র এডিজি পদে বসিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে বদলি করে। এই মুহূর্তে কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসার। এর মধ্যেই সেই মন্ত্রকই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে। ওই নোটিশের মেয়াদ এক বছর। ২০২০-র ২৩ মে পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। প্রয়োজনে তা ফের বাড়তে পারে।