পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে মজবুত করার কাজে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেই ক্রমে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের চলছে দলে নেওয়ার প্রক্রিয়া। তৃণমূলে ভাঙনের ধারা অব্যাহত। হাজার চেষ্টা করেও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভাঙন রুখতে পারছে না। কিছুদিন আগে রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলার সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। তবে তিনি এখনো দলেই আছেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে নানান জল্পনা।
এছাড়াও হাওড়া জেলার বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে যে, তিনি ৩১ জানুয়ারি অমিত শাহের হাওড়া সভার দিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। এছাড়াও হাওড়া জেলার আরও এক তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে নিয়েও অস্বস্তিতে দল। এর আগে ওনাকে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছিল।
আর এরই মধ্যে হাওড়ার এক দাপুটে তৃণমূল নেতা আজ দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে খবর। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হাওড়া জেলার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শ্রীকান্ত ঘোষ গতকাল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের সাথে বৈঠক করেছেন। মুকুল রায়ের কাছে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
সুত্র মারফৎ খবর অনুযায়ী, আজ তিনি ৫ হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছে। গতকাল মুকুল রায়ের সাথে বৈঠকের পর শ্রীকান্ত ঘোষ জানান, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তৃণমূল দলটা করছি। কিন্তু দলে কোনও সন্মান পাইনি। দল আমার টাকায় অনেক বড়বড় অনুষ্ঠান করেছে। আমাকে লুটেপুটে নিয়েছে দল। এতকিছুর পর আমাকে যোগ্য সন্মানটুকুও দেয়নি। তাই আমি আর এই দলে থাকব না।”
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে হাওড়া জেলায় তৃণমূলের কাছে এটি একটি বড় ধাক্কা হতে চলেছে। আর আগামী দিনে রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার বিজেপি যোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।