দেশে করোনা ভাইরাসের দুটি ভ্যাকসিনকে এমার্জেন্সি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার সাথে সাথে বিশ্বের নজর এখন ভারতের দিকে টিকে আছে। বিশ্বের বেশীরভাগ দেশ ভারতের করোনা ভ্যাকসিনকে নিজেদের দেশে নিয়ে যেতে চাইছে। ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইর বোলসোনারো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে করোনার ভ্যাকসিনের ২০ লক্ষ ডোজ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও, ভারতের তরফ থেকে যেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাতে করোনার ভ্যাকসিন প্রথমে প্রতিবেশী দেশগুলোকে দেওয়া হবে, এরপর অন্য দেশগুলোর কাছে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে।
করোনা মহামারীর মধ্যে গোটা বিশ্বই ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করে আসছে। ভারতে দুটি করোনা ভ্যাকসিনের ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার পর ব্রাজিল, মেক্সিকো, সৌদি আরব, মায়ানমার, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো আধিকারিক ভাবে ভারতের ভ্যাকসিন তাঁদের দেশে পাঠানোর আবেদন করেছে। সুত্র অনুযায়ী, করোনা ভ্যাকসিনের বিতরণ ভারত সরকার বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের মতো দেশে আগে করবে।
বিদেশ মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত প্রথম থেকেই করোনার সঙ্গে লড়াই লড়ে আসছে। এই এই লড়াইয়ে বিশ্বকে সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য। আমাদের প্রচেষ্টা হল এই লড়াইয়ে বিশ্বের যতটা সম্ভব সাহাজ্য করা। জানিয়ে দিই, DCGI সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড আর ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিনকে দেশে এমার্জেন্সি ভাবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে।
ভারতে তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকার প্রশংসা করেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস বলেছে, ভারতে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা চীনের টিকার কোনও অংশেই কম না। তাঁরা এও বলে যে, ভারতীয় ভ্যাকসিন গবেষণা এবং উত্পাদন ক্ষমতা কোনও পর্যায়ে কম নয়।